বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থীও উপস্থিত ছিলো না! বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থীও উপস্থিত ছিলো না! – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০২:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়ায় জয়চন্ডী ইউনিয়ন যুব উন্নয়ন পরিষদের আত্মপ্রকাশ বড়লেখার দেওছড়া খাল দখল ও ভরাট : পানি নিষ্কাশন প্রতিবন্ধকতায় ভাঙ্গছে রাস্তা কুলাউড়ায় স্বামী-স্ত্রীর অপকর্মে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী : প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন- কুলাউড়ায় কলেজ ছাত্রের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কুড়িগ্রামে স্থানীয় অংশীদারদের সাথে সংলাপ এবং ইন্টারেক্টিভ সেশন সভা নাগেশ্বরীতে স্থানীয় অংশীদারদের সাথে সংলাপ এবং ইন্টারেক্টিভ সেশন সভা যুক্তরাজ্য থেকে কমলগঞ্জের নিজ এলাকায় ফেরায় সাবেক ছাত্রদল নেতাকে ফুলেল শুভেচ্ছা কমলগঞ্জে সড়ক সংস্কার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ইটের খুয়ার পরিবর্তে ইটের গুড়া ! ইউএনও’র সরেজমিন পরিদর্শন বড়লেখায় ওয়ালটন প্লাজার ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প জুড়ীতে ৬৫ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের মাঝে বকনা গরু বিতরণ

বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থীও উপস্থিত ছিলো না!

  • শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০২৩
মোঃ বুলবুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :: কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ময়নার খামার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় যেন এক আতুর ঘর। গত বুধবার ১৯ জুলাই স্কুল চলাকালীন সময়ে সাংবাদিকদের একটি টিম উক্ত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে দেখতে পায় একজন শিক্ষার্থীও বিদ্যালয়ে উপস্থিত নেই। প্রতিটি ক্লাস রুম ফাঁকা।
প্রতিষ্ঠানে ৪ জন সহকারী শিক্ষক  উপস্থিত থাকলেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত ছিলেন। বাস্তবে অত্র প্রতিষ্ঠানে ৪ জন সহকারী শিক্ষক থাকলেও একজন শিক্ষার্থীও উপস্থিত না থাকায় শিক্ষকগণ শ্রেণি কক্ষে খোস গল্পে ব্যস্ত ছিলেন। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সহকারী শিক্ষিকাগণ নিজেদের অবহেলার কথা স্বীকার না করে গায়ের জোর ও ক্ষমতার দাপটের কথা জোরে সোরে বলে নিজেকে গা ঢাকানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ মাহমুদা পারভিন এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসে অফিসিয়াল কাজের জন্য ব্যস্ত আছি। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ অত্র প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের অবহেলার কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি  শূন্যের কোটায় এসে দাঁড়িয়েছে।
 এলাকাবাসী জানান- প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগণ দায়সারা ভাবে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করাতে বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা তাদের বাচ্চাদেরকে অন্য বিদ্যালয়ে কিংবা মাদরাসায় পাঠাচ্ছে। সাংবাদিকদের উপস্থিতি বুঝে অত্র প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষিকা আম্বিয়া খাতুন, বিউটি আক্তার, লাইজু বেগম, সিরাজুম মুনিয়া শিক্ষার্থী উপস্থিতি হাজিরা খাতায় তড়িঘরি করে পুরণ করার চেষ্টা চালায়। এ সময় দেখা যায়, শিক্ষার্থী হাজিরা খাতা গত ১৭, ১৮ ও ১৯ জুলাই কোন উপস্থিতি করা হয় নাই।
এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ জাকির হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবু ছালেহ বলেন- বিষয়টি এ রকম হয়ে থাকলে সত্যি এটি শিক্ষক সমাজের জন্য ন্যাক্কার জনক ঘটনা। তবে যেই হোক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কোন কমতি থাকবে না।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews