বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থীও উপস্থিত ছিলো না! বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থীও উপস্থিত ছিলো না! – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ছাত‌কে গায়েবি প্রশিক্ষণের টাকা সরকারি কর্মকর্তার পকেটে! নিটার-ইপিলিয়ন এমওইউ নবায়ন, সুযোগ বাড়ছে নিটার শিক্ষার্থীদের কমলগঞ্জে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিদায় সংবর্ধনা কমলগঞ্জে দূর্গন্ধযুক্ত ও পঁচা টিসিবির চাল বিতরণের অভিযোগ লন্ডনে সার্কেল পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ও সরপঞ্চ বিষয়ক স্মারকগ্রন্থ কালের অভিজ্ঞান-এর মোড়ক উন্মোচন বড়লেখায় এনসিসি ব্যাংকের বৃক্ষরোপন ও চারা বিতরণ  মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি নেতা আজমল আলী সেন্টু অস্ত্রধারীর গুলিতে মারা গেলেন নিউইয়র্ক পুলিশ অফিসার কুলাউড়ার যুবক রতন জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আলোচনা সভা ও মেডিকেল ক্যাম্প সরকারি কাজে বাঁধা ও ইউএনওকে হুমকি ওসমানীনগরে এক সমন্বয়েকর ২ মাসের কারাদন্ড

বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থীও উপস্থিত ছিলো না!

  • শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০২৩
মোঃ বুলবুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :: কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ময়নার খামার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় যেন এক আতুর ঘর। গত বুধবার ১৯ জুলাই স্কুল চলাকালীন সময়ে সাংবাদিকদের একটি টিম উক্ত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে দেখতে পায় একজন শিক্ষার্থীও বিদ্যালয়ে উপস্থিত নেই। প্রতিটি ক্লাস রুম ফাঁকা।
প্রতিষ্ঠানে ৪ জন সহকারী শিক্ষক  উপস্থিত থাকলেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত ছিলেন। বাস্তবে অত্র প্রতিষ্ঠানে ৪ জন সহকারী শিক্ষক থাকলেও একজন শিক্ষার্থীও উপস্থিত না থাকায় শিক্ষকগণ শ্রেণি কক্ষে খোস গল্পে ব্যস্ত ছিলেন। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সহকারী শিক্ষিকাগণ নিজেদের অবহেলার কথা স্বীকার না করে গায়ের জোর ও ক্ষমতার দাপটের কথা জোরে সোরে বলে নিজেকে গা ঢাকানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ মাহমুদা পারভিন এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসে অফিসিয়াল কাজের জন্য ব্যস্ত আছি। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ অত্র প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের অবহেলার কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি  শূন্যের কোটায় এসে দাঁড়িয়েছে।
 এলাকাবাসী জানান- প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগণ দায়সারা ভাবে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করাতে বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা তাদের বাচ্চাদেরকে অন্য বিদ্যালয়ে কিংবা মাদরাসায় পাঠাচ্ছে। সাংবাদিকদের উপস্থিতি বুঝে অত্র প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষিকা আম্বিয়া খাতুন, বিউটি আক্তার, লাইজু বেগম, সিরাজুম মুনিয়া শিক্ষার্থী উপস্থিতি হাজিরা খাতায় তড়িঘরি করে পুরণ করার চেষ্টা চালায়। এ সময় দেখা যায়, শিক্ষার্থী হাজিরা খাতা গত ১৭, ১৮ ও ১৯ জুলাই কোন উপস্থিতি করা হয় নাই।
এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ জাকির হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবু ছালেহ বলেন- বিষয়টি এ রকম হয়ে থাকলে সত্যি এটি শিক্ষক সমাজের জন্য ন্যাক্কার জনক ঘটনা। তবে যেই হোক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কোন কমতি থাকবে না।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews