কমলগঞ্জ ভুমি অফিসে হয়রানির শিকার সেবাগ্রহিতারা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কমলগঞ্জের শমশেরনগরে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দিনভর যানজট কুলাউড়ায় অবৈধভাবে বেঁড়িবাধ কাটার সময় মাটি চাপায় দিনমজুর নিহত আত্রাইয়ের শুঁটকিপল্লীতে  উৎপাদনে ভাটা  স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শাহবাগ ব্লকেড শান্তিরক্ষা মিশন সুদানে নিহত ও আহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের পরিচয় প্রকাশ বড়লেখায় শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে আলোচনা ও দোয়া কুড়িগ্রামে বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় ভুয়া ভর্তি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ কমলগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল কুলাউড়ার কর্মধায় ২য় বারের মতো ট্রাস্ট মেধাবৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন প্রাথমিক শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নির্ধারণ করবে বেতন কমিশন

কমলগঞ্জ ভুমি অফিসে হয়রানির শিকার সেবাগ্রহিতারা

  • মঙ্গলবার, ২৯ জুন, ২০২১

Manual1 Ad Code

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি::

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা ভুমি অফিসে সেবা গ্রহীতারা হয়রানির শিকার ও ডিসিআরসহ ভিপি মামলায় ইচ্ছেমাফিক টাকা আদায়েরও অভিযোগ উঠেছে। টাকা না দিলে কৌশলে নামজারিসহ বিভিন্ন মামলার ফাইল বাতিল করা হচ্ছে। পরে দালাল চক্রের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে নামজারি করে নিতে হচ্ছে। অফিসের একটি চক্র এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা ভুমি অফিসে অনিয়ম বিষয়ে ভুক্তভোগীরা ভুমি মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগও রয়েছে। বে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) এই অভিযোগগুলো সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন।

Manual7 Ad Code

জানা যায়, খারিজ ফাইল, ভিপি মামলাসহ নানা কাজে উপজেলা ভুমি অফিসে হয়রানি ও বাড়তি টাকা নেয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগি সেবাগ্রহীতা, ভুমি অফিসের কর্মচারী ও জনপ্রতিনিধির পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত টাকা আদায়ে অফিসে রহস্যের জট বাঁধিয়ে রাখা হয়েছে এবং খারিজি এসব ফাইল ঘাটলেই রহস্যের জট বেরিয়ে আসবে বলে তারা দাবি করেন।

কমলগঞ্জ উপজেলা ভুমি অফিসে হয়রানির অভিযোগ তুলে আদমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমার ইউনিয়নের জনসাধারণ ভুমি অফিসে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ইউনিয়ন থেকে উত্তরাধিকারী সনদ দেয়ার পরও ভুমি অফিসে রহস্যজনক কারণে সে সনদ গ্রহণ না করে আদালত থেকে সাকসেশন সনদ আনতে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় ৯৮ শতাংশ উত্তরাধিকারী সনদেই খারিজ হচ্ছে। অথচ খারিজি ফাইলে ত্রুটি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না করে আদালত থেকে সাকসেশন সনদ সংগ্রহের বিষয়টি রহস্যজনক। কোর্ট থেতে এ ধরণের সাকসেশন সনদ পাওয়া যায় না। এভাবে একজন সেবা গ্রহীতা বাধ্য হয়েই বিকল্প পন্থা অবলম্বন করতে হয়। সাকসেশন সনদের নামে অনেক লোকের কাজ উপজেলা ভূমি অফিসে আটকে আছে। আবার কিছু কিছু কাজ বড় অংকের উৎকোচের বিনিময়ে সাকসেশন সনদ ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে। এভাবে প্রশাসনের এ কর্মকর্তার স্বেচ্ছাচারিতা আর ঘুষ-দুর্নীতির কারণে সাধারণ মানুষ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

Manual2 Ad Code

উপজেলার দুজন সেবা গ্রহীতা বলেন, কমলগঞ্জ উপজেলা ভুমি অফিসে নামজারি মামলায় সবকিছু সঠিক থাকার পরও তাদের চাহিদা মতো টাকা না দিলে ফাইল নড়ে না। তাই বাধ্য হয়ে বাড়তি টাকা দিয়ে কাজ সারিয়ে নিতে হয়। ভুমি অফিসের কতিপয় কর্মচারীদের মাধ্যমে এসব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শমশেরনগরের একজন ব্যবসায়ী বলেন, একটি ভিপি মামলার জন্য উপজেলা ভুমি অফিসে গেলে এক লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। পরে টাকা না দেয়ায় দীর্ঘদিন আটকে রাখা হয়। শমশেরনগরে বসবাসরত কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ইউসুফ আলী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার নাতি আজিজুর রহমান প্রবাসে থাকে। সে শমশেরনগরে ৮শতক জমি কিনে। প্রায় তিন মাস আগে সেগুলো সাবরেজিষ্ট্রি করার পর নামজারি করতে ভুমি অফিসে যাই। এসিল্যান্ড মেডাম বলেন খরিদদারকে থাকতে হবে। পরে তিনি এই নামজারি বাতিল করে দেন। এরপর ফাইল ই গোপন হয়ে যায়। পরে একজন দালালের মাধ্যমে ৭ হাজার টাকায়ই সেই নামজারি করানো সম্ভব হয়েছে।’
উপজেলা ভুমি অফিসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মচারী জানান, অফিসের নাজির একটি ডিসিআর কাটতে যেখানে ১১৫০ টাকা নেয়ার কথা, সেখানে দুই থেকে তিন হাজার টাকা না দিলে তিনি ডিসিআরই কাটতে রাজি নন। তবে অভিযোগ বিষয়ে ভুমি অফিসের নাজির সোনিয়া শারমিন বলেন, কারো কাছ থেকে টাকা বেশি নেয়া হয়নি। যা ফি তাই নেয়া হচ্ছে। এরকম কেউ এসে বলতে পারবে না।

Manual2 Ad Code

অনুসন্ধানে জানা যায়, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি মো. আসিদ আলীসহ তিনজন ব্যক্তি কমলগঞ্জ উপজেলা ভুমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভুমি) এর অনিয়ম বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের তদন্তের জন্য ভুমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শাকিলা রহমান স্বাক্ষরিত একটি পত্রে বিষয়টি তদন্তের জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারি মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রেরণ করেন।

এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) নাসরিন চৌধুরী বলেন, এরকম কোন অভিযোগ শুনি নাই। তবে আদমপুর ইউনিয়নের একটি নামজারি মামলা বাতিল করা হয়েছে। চেয়ারম্যান সাহেবকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলার পরও তিনি সম্ভবত পরিস্কার বুঝতে পারেননি। তাছাড়া ডিসিআর, ভিপি মামলায় অতিরিক্ত টাকা নেয়ার কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে কেউ যদি টাকা নিয়ে থাকে আর অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক বলেন, সব ক্ষেত্রে সাকসেশন সনদ লাগার কথা নয়। বিশেষ ক্ষেত্রে হয়তো লাগতে পারে। তিনি ভুক্তভোগী লোকদের এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।

Manual6 Ad Code

মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মল্লিকা দে বলেন, উত্তরাধিকারী সনদ দু’ধরণের থাকে। সে বিষয়ে ইউএনও’র সাথে কথা বলতে পারেন। আর সেবা গ্রহীতাদের হয়রানি ও টাকা আদায়ের বিষয়ে কোন অভিযোগ থাকলে আমার কাছে অসলে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।#

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!