কমলগঞ্জে চুরি করে বালু বিক্রির হিড়িক : সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত কমলগঞ্জে চুরি করে বালু বিক্রির হিড়িক : সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিটার মিনিবার নাইট ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন এফসি ডার্ক নাইট একজন মেহেদী হাসান রিফাতের গল্প : স্বপ্ন থেকে সাফল্যের পথে আত্রাইয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা : ১৪ টি যানবাহন জব্দ কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবার খাসিয়াদের বর্ষবিদায় উৎসব “সেং কুটস্নেম” কুলাউড়া উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি আটক কুলাউড়ার হাজিপুর ইউনিয়নে জিপিএ-৫ ও এ গ্রেড পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা রাজারহাটে ওয়ার্ল্ড ভিশনের আয়োজনে বাল্যবিবাহ বন্ধে সংলাপ কুড়িগ্রামে ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র মতবিনিময়

কমলগঞ্জে চুরি করে বালু বিক্রির হিড়িক : সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত

  • মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০২০

এইবেলা, কমলগঞ্জ ::

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ধলাই নদীর চর খনন করে বালু উত্তোলন করে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। স্তুপকৃত বালুগুলো দীর্ঘ দিন ধরে নিলাম না দেয়ায় কারনে এক শ্রেণীর প্রভাবশালী বালু চোর চক্র প্রকাশ্য বালু নিয়ে বিক্রি করছে। এতে করে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার বুক দিয়ে প্রবাহিত ধলাই নদীর গুরুত্বপূর্ণ বাঁক সমুহে বালুর চর জমে নদীর নাব্যতা কমে গিয়েছিল। আঁকাবাঁকা ও ইউ আকৃতির ধলাই নদীতে অসংখ্য চর থাকার ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছিলো। অল্প বর্ষণেই উজানের পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদী ফুলে ফেঁপে উঠে। প্রবলস্রোতে বাঁক ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিত। নদীর ভাঙনের কারণে বাড়িঘর, ফসলি জমি ও গ্রাম্য রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়ে আসছিল। ফলে বিপুল সম্পদ, ফসল বন্যার পানিতে বিনষ্টসহ মানুষের বাড়ী-ঘর নদীর ভাঙ্গনের শিকার হতো।

৬৪টি জেলার খাল, জলাশয় ও নদী পুনর্খনন প্রকল্পের (১ম পর্যায়ের) আওতায় মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা সমস্যা থেকে উত্তরণে ও ধলাই নদীর স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে বড় বড় ২২টি স্থান চিহিুত করে চর অপসারণ খনন প্রকল্প হাতে নেয়। এতে ৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩টি প্যাকেজে ঢাকার আরাধনা এন্টারপ্রাইজ চর অপসারণ করার কাজ করে। নদীর বালু অপসারণ করে কোন নিরাপত্তা ছাড়াই নদীর পার্শ্বেই স্তুুপ করে ফেলে রেখে যায়।

ফলে একদিকে বৃষ্টির পানিতে ওই বালু আবার নদীতে পড়ে যাচ্ছে। ওই বালুসমুহ নিলামে বিক্রি করার কথা থাকলে ও অদৃশ্য কারণে নিলাম না দিয়ে নদীর পার্শ্বেই নিরাপত্তা ছাড়াই ফেলে রাখা হয়েছে। এই সুযোগে এক শ্রেণীর বালু ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্য মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজে ব্যবহারের নাম করে রাজস্ব ছাড়াই গাড়ী যোগে বালু নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা আয় করছে। অপরদিকে নিলাম না দেয়ার কারনে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তীর সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, নদী থেকে উত্তোলনকৃত বালু সমুহ নিলামে বিক্রি করার কথা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলাম দিবেন। এগুলো কাউকে নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি। যারা নিচ্ছেন তা অবৈধ। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews