:: ।। এম এম শাহীন ।। ::
আজকাল ফেসবুক খুলতেই কেমন যেনো একটা ভয় কাজ করে। কোথাও কোন সুসংবাদ নেই, কেবলই দুঃসংবাদ। আজ সকালে ফেসবুক খুলতেই বুকটা ধক করে উঠলো! সাংবাদিক আল্লাউদ্দিন উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট নিয়ে রওয়ানা হয়েছে। কিছুক্ষণ পর পর্দায় ভেসে এলো ভয়ংকর এক খবর! আমার খুবই প্রিয়ভাজন সাংবাদিক শাকির আর নেই।
প্রথমে বিশ্বাসই হচ্ছিলো না! একে একে কথা বল্লাম সাংবাদিক ফুয়াদ, খোকন ও সাংবাদিক আলাউদ্দিন এর সাথে।জানলাম-কুলাউড়ার অত্যন্ত মেধাবী, সৎ ও নির্ভীক সাংবাদিক শাকির সিলেটের একটি হাসপাতালে মারা গেছে। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন)।
তার এই অকালমৃত্যুতে আমার বুকের ভেতরটা একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে! মনটা বিষন্ন! এইতো কিছুদিন আগে তার সাথে পরিকল্পনা এঁটেছিলাম কুলাউড়ার সামগ্রিক উন্নয়ন নিয়ে। ও আমায় তাগিদ দিয়েছিল তাড়াতাড়ি দেশে ফিরে যেতে। কথাও দিয়েছিলাম, পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হয়ে আসলেই চলে আসবো।
কারণ তরুণ-মেধাবীদের নিয়ে কাজ করতে সবসময়ই আমার রয়েছে আলাদা একধরণের আগ্রহ। তাদের সাথে আমার চিন্তা-চেতনায় বেশ মিল আছে। আমি দেখেছি, শাকিরের মধ্যে একটা অনুসন্ধিষ্ণু দৃষ্টি আছে, অনেক গভীর পর্যন্ত দেখতে পারে। তাই সাংবাদিক হিসেবে সবসময় তাকে অনেকটাই আলাদা দৃষ্টিতে দেখতাম। নিশ্চিত ছিলাম, বেঁচে থাকলে শাকির দেশ এবং কুলাউড়াকে অনেক বেশি আলোকিত করতে পারবে।
আজ তার কাছে জানতে ইচ্ছে করছে-এতো অল্পবয়সে সব কাজ অসম্পূর্ণ রেখে তুমি এভাবে কেনো চলে গেলে শাকির?
ভালো থেকো ওপারে। মহান আল্লাহ তোমাকে বেহেশতের সর্বোচ্চ স্থান, জান্নাতুল ফেরদৌস, দান করুন।পরিবারকে এ শোক কাটিয়ে ওঠতে শক্তি দিন।আমিন।
Leave a Reply