প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ, কমলগঞ্জ :: সুনীল আকাশ, গাঢ় সবুজ পাহাড়, শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবির মতো মনোরম চা বাগানের মনোরম দৃশ্যে যে কারো মন কাড়ে । চারদিকে উচু পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ১নং রহিমপুর ইউনিয়নের মির্ত্তিঙ্গা চা বাগানে অবস্থিত “বাম্বোতল” লেক। এটি পর্যটকদের নিকট হতে পারে আকর্ষনীয়।
বাম্বোতল লেকটি সত্যি অপূর্ব। লেকের ঝলমল জল, ছায়া সুনিবিড় পরিবেশ, শাপলা-শালুকের উপস্থিতিতে আরো মনোমুগ্ধকর করে তুলেছে পরিবেশ। এটি রহিমপুর ইউনিয়নের দেউন্ডি টি কোম্পানি লিমিটেড মির্ত্তিঙ্গা চা বাগানে অবস্থিত লেক। কমলগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার ভিতরে। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্যে লীলাভূমি কোন পর্যটকদের ছোঁয়া লাগেনি এই লেকে। যার ফলে অপরুপ সৌন্দর্য্যরে বাহারে সবুজ সমারোহ প্রকৃতি যেন ঝলমল করছে।
লেকের চারপাশে উঁচু উঁচু টিলা। চায়ের গাছ এবং ছায়াবৃক্ষ গাছের সারি। এরই মাঝে একঝাঁক পাখি তাদের সুরের মুর্চ্ছনা দিয়ে সুনীল আকাশে উড়ে যাচ্ছে। গাঢ় সবুজ পাহাড়, শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবির মত চা বাগানের মনোরম দৃশ্য যে কারো মনকে উত্তলা করে তুলবে এবং নিয়ে যাবে ভিন্ন এক জগতে। এক কথায় বাম্বোতল লেক যেন প্রকৃতির নিজ হাতে আঁকা মায়াবী এক নৈসর্গিক দৃশ্য।
বাম্বোতল লেকে পড়ন্ত বিকেলে ঘুরতে আসা কমলকুঁড়ি পত্রিকার সম্পাদক পিন্টু দেবনাথ জানান, মির্ত্তিঙ্গা চা বাগানের গভীর অরণ্যে ছায়াঘেরা এই লেকটি যেন আপন মহিমায় সাজিয়েছে প্রকৃতি। সবুজ সমারোহ চারিদিকে চায়ের উঁচু টিলার মধ্যে মানুষের অগোচরে থাকা লেকটি দেখতে সত্যিই অপরূপ লাগে। যখন মনে ক্লান্তি আসে তখন প্রকৃতি প্রেমিরা এসে এই লেকের পরশে ক্লান্তি দূর করে এবং মনকে সতেজ করে প্রশান্তি মিলে। তাইতো অবসরে ঘুরতে এলাম।
বর্তমান করোনাকালীন সময়ে বিশেষ করে পড়ন্ত বিকেল বেলা সবুজ প্রকৃতির মাঝে এই লেকে অবস্থান করে নিশ্বাস প্রশ্বাস নেয়া যেতে পারে নির্বিঘ্নে। যদিও এটি পর্যটন স্থান হিসাবে বিবেচিত নয়। পর্যটকরা জানেন না এত চমৎকার এই স্থানের কথা। নতুন করে আবিস্কার হল এ লেক। আপনিও ঘুরে আসতে পারেন, উপভোগ করতে পারেন এখানকার চা শ্রমিকদের জীবনমান, লেকের অপরুপ সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক দৃশ্য।
রহিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ বদরুল জানান, মির্ত্তিঙ্গা চা বাগানের ছায়া সুনিবিড় পরিবেশে প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য্যরে অপার লীলাভূমি “বাম্বোতল লেক” হতে পারে পর্যটকদের নিকট আকর্ষনীয়।
Leave a Reply