জুড়ীতে ফ্রি হিউম্যান অক্সিজেন সেবাগ্রহিতা ৩০০ ছাড়লো জুড়ীতে ফ্রি হিউম্যান অক্সিজেন সেবাগ্রহিতা ৩০০ ছাড়লো – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ১৮ নভেম্বর ক্যানভাসে ভিন্ন ভিন্ন গল্পে দলীয় প্রদর্শনী সম্পন্ন সিলেটে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি দৈনিক শ্যামল সিলেটের বার্তা সম্পাদকের মৃত্যুতে ছাতকে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের শোক কুলাউড়ায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা ভূরুঙ্গামারীতে ইয়াবাসহ নারী মাদক কারবারি আটক উলিপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক সভা বড়লেখা সীমান্তে পরিত্যক্ত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার কমলগঞ্জে চা-শ্রমিক সংঘের সভা :  দুর্গাপূজায় ন্যায্য বোনাস প্রদানসহ মজুরির দাবি সিলেটে ‘নগরবাসীর ভোগান্তি কমানো, যানজট নিরসনে অ্যাকশনে পুলিশ

জুড়ীতে ফ্রি হিউম্যান অক্সিজেন সেবাগ্রহিতা ৩০০ ছাড়লো

  • সোমবার, ২৩ আগস্ট, ২০২১

জুড়ী প্রতিনিধি::

বিপদে মানুষের পাশে দাড়ানোর অঙ্গিকার নিয়ে ৭ টি সিলিন্ডার নিয়ে প্রথমে চালু হলে ও বর্তমানে ৪৩ টি সিলিন্ডার দিয়ে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা দিয়ে যাচ্ছে “ফ্রি হিউম্যাস সার্ভিসের অক্সিজেন সেবা।৩ মাসে জুড়ী বড়লেখার প্রায় ৩০০ এর অধিক মানুষকে সেবা দিয়ে চলেছে তারা।

গত বছরের মে মাসের ১৯ তারিখ জুড়ী বড়লেখার করোনা আক্রান্ত,শ্বাস কষ্ট সহ অক্সিজেনের প্রয়োজন এরকম রোগীদের জন্য আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের উদ্যোগে এক ঝাঁক তরুন নিয়ে চালু হয় ‘ফ্রি হিউম্যান অক্সিজেন সেবা’।প্রথমে ৭ টি সিলিন্ডার দিয়ে এ সেবা চালু হলেও মানুষের চাহিদার কথা চিন্তা করে যোগ হয়েছে আরও ৩৬ টি সিলিন্ডার। এর মধ্যে জুড়ী উপজেলায় ২২ টি সিলিন্ডার এবং বড়লেখা উপজেলায় ২২ সিলিন্ডারের মাধ্যমে দুই উপজেলায় মানুষের আস্থা অর্জন করেছে তারা। কোনো ব্যক্তি বা তার স্বজন ফোন করলে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে তাদের বাড়িতে হাজির হচ্ছেন ‘ফ্রি হিউম্যান অক্সিজেন সার্ভিস’র স্বেচ্ছাসেবীরা। দিনরাত ২৪ ঘণ্টার যে কোন সময় যোগায়োগ করলেই পৌঁছে দেওয়া হয় এ সেবা। যুবলীগ,ছাত্রলীগ সহ ২২ জন সেচ্ছাসেবকের সমন্বয়ের একটি টিম যুক্ত রয়েছেন এই সেবা কাজে।

এ কার্যক্রমের উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন আমাদের সময় কে বলেন, করোনার প্রথম ধাপে জুড়ী বড়লেখায় প্রায় পাচঁ হাজার মাস্ক এবং স্যানিটাউজার দিয়ে মানুষের পাশে দাড়িয়েছি। বর্তমানে দেশে করোনা সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে। করোনাক্রান্ত অনেকেই অক্সিজেন না পেয়েই মারা যাচ্ছেন। করোনার কাছে ধনী-গরিব সবাই অসহায়। তাই কেউ যাতে অক্সিজেনের অভাবে মারা না যায়, সেজন্য মানবিক কারণে এই উদ্যোগ নিয়েছি। কারও অক্সিজেন প্রয়োজন হলেই আমাদের স্বেচ্ছাসেবীদের কাছে কল দিলেই তারা অক্সিজেন বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন। স্বেচ্ছাসেবীরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন।

তিনি বলেন, শুরুতে বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলায় ৭টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে এই সেবা কার্যক্রম শুরু হয়। চাহিদা বাড়ায় ধীরে ধীরে আরও ৩৭ টি সিলিন্ডার যুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে আমরা ৪৪টি সিলিন্ডার দিয়ে এই সেবা দিচ্ছি। মানুষের চাহিদা অনুসারে এ সংখ্যা আরও বাড়বে। দেশ-বিদেশের অনেকে আমাদের এই কাজে সহায়তা করতে চাইছেন। আমরা তাদের স্বাগত জানিয়েছি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই সেবা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়ানো মানুষের দায়িত্ব। আমিও সেই দায়িত্ব পালন করছি। সমাজের বিত্তবানদের উচিত এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানো। তাহলে হয়তো এই অন্ধকার কেটে একদিন আলো আসবেই।

সেচ্ছাসেবীদের ভাষ্যমতে, চলতি বছরের মে মাসে ৭টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে এই সেবা শুরু হয়।এরপর যোগ হয় আরও ১০ টি সিলিন্ডার। অক্সিজেনের চাহিদা বাড়ায় গত ২৮ জুলাই এই কার্যক্রমে আরও ২০টি সিলিন্ডার যুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে ৪৪টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে রাত-দিন এই সেবা দেওয়া হচ্ছে। এই সেবা পেতে হলে নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রের প্রয়োজন হয়। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই সেবা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সেবা গ্রহীতা রহিমা বেগম,বলেন

আমি যখন করোনা আক্রান্ত ছিলাম, তখন আমার অক্সিজের লেভেল একেবারেই কমে যায়।এত রাতে আমার বাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকায় কোন উপায় পাচ্ছি না।পরে আমার ভাসুর পুত্র তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা অক্সিজেন নিয়ে আসে।

সেবা গ্রহিতা মোস্তাফিজুর রহমান,গোলাম রব্বানী চৌধুরী জাহাঙ্গীর সহ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে অক্সিজেন না পেয়ে হিউম্যান অক্সিজেন সার্ভিসের স্বেচ্ছাসেবীদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বাড়িতে অক্সিজেন সেবা পৌঁছে দিয়েছেন। এতে তাদের কোন খরচ দিতে হয়নি। বরং প্রয়োজন শেষে নিজেরাই এসে বাড়ি থেকে সিলিন্ডার ফেরত নিয়েছেন। তারা এ কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানান।

‘ফ্রি হিউম্যান অক্সিজেন সার্ভিস’-এর জুড়ীর সমন্বয়ক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সল আহমদ ও মো বেলাল হোসাইন বলেন, যখন কারও অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে তারা আমাদের কল দিচ্ছেন। আমরা অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছি। জুড়ীতে ২২ টি সিলিন্ডার আছে।

‘ফ্রি হিউম্যান অক্সিজেন সার্ভিস’-এর বড়লেখার সমন্বয়ক ও পৌরসভার কাউন্সিলর রাহেন পারেভজ রিপন বলেন, করোনাক্রান্ত কেউ যাতে অক্সিজেনের কষ্টে মারা না যায় সেজন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন ভাই এই উদ্যোগ নেন। মানবিক কারণে আমরা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছি। কোথাও কারও অক্সিজেনের প্রয়োজন হলে তারা আমাদের কাছে কল দেন। আমরা অক্সিজেন নিয়ে তাদের বাড়িতে হাজির হই। বড়লেখা উপজেলায় ২২টি সিলিন্ডার দিয়ে এই সেবা দেয়া হচ্ছে। বিপদে অক্সিজেন পেয়ে মানুষ আমাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।#

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6085

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!