বড়লেখায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে আদালত ও সাবরেজিষ্ট্রার অফিসের কাজ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
একদল অপকর্ম করে পালিয়েছে, আরেকদল সেই অপকর্মের দায় কাঁধে তুলে নিয়েছে : শফিকুর রহমান আধ্যাত্মিক, মানবিক দর্শন ও লোক ক‌বি সাধক হাসন রাজার মৃত্যুবার্ষিকী আজ আজ বড়লেখা মুক্ত দিবস : মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আলোচনা সভা প্রয়াত ডা. পবন চন্দ্র দেবনাথের ছোট ভাই ব্রজেন্দ্র দেবনাথ আর নেই কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শনে রেলওয়ে সচিব- সম্পন্নের ডেডলাইনেও বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় বড়লেখায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নফল রোজা শেষে ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুলাউড়ায় আদালতের নির্দেশনা ভঙ্গ করে কৃষকদের জমিতে ফসল রোপণের অভিযোগ ছাতকের ইউএনও’কে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান ফুলবাড়ীতে বিজিবি’র অভিযানে মাদকদ্রব্য ও ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার সহকারি শিক্ষকদের সাটডাউন- বড়লেখায় কক্ষের তালা ভেঙ্গে পরীক্ষা নেওয়ালেন অভিভাবকরা

বড়লেখায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে আদালত ও সাবরেজিষ্ট্রার অফিসের কাজ

  • বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

Manual5 Ad Code

আব্দুর রব, বড়লেখা ::

বড়লেখা জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালত (চৌকি আদালত) ও সাবরেজিষ্ট্রার ভবন ব্যবহার অনুপযোগি। দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ ও ডেমেজ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠান দু’টির কার্যক্রম। এতে ভবন ধসে যেকোন সময় বড়ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা দলিল লেখক সমিতি সাবরেজিষ্ট্রার অফিস উপজেলা প্রশাসনের অভ্যন্তরে স্থানান্তরের দাবীতে উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন।

জানা গেছে, ১৯৮৩ সালে তৎকালীন সরকার ফৌজদারী আদালত পরিচালনার জন্য বড়লেখায় আদালত ভবন নির্মাণ করে। ১৯৯২ সালে সরকারি আদেশে উপজেলা আদালত প্রত্যাহার করায় সেখানে উপজেলা সাবরেজিষ্ট্রার অফিস স্থানান্তর করা হয়। ২০০৪ সালের শেষের দিকে দেশের সীমান্তবর্তী ৯টি উপজেলায় চৌকি আদালত চালুর সরকারি সিদ্ধান্তে প্রায় ১ যুগ অরক্ষিত ও জরাজীর্ণ ভবনে বড়লেখা উপজেলা আদালতের কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হয়। ইতিপূর্বে জরাজীর্ণ আদালত ও সাবরেজিষ্ট্রার ভবনের ছাদের ও দেয়ালের পলেস্তোরা ভেঙ্গে অনেকের ওপর পড়েছে। এমনকি এজলাসে বিচারকার্য চলাকালিন ছাদের পলেস্তোরা-খোয়া ভেঙ্গে ও বৈদ্যুতিক পাখা ছিটকে আইনজীবিদের মাথায় পড়ে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এরপর থেকেই আদালতের স্টাফ, আইনজীবি ও বিচারপ্রার্থীরা থাকেন আতংকে। গত ২৮ মে আদালত ভবনের হাজতখানার উত্তর দিকের প্রায় ৫০ ফুট দীর্ঘ সীমানা প্রাচীর ধসে পড়ে। অরক্ষিত হয়ে পড়ে কোর্ট হাজতখানা। পুলিশ ও আসামীর নিরাপত্তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। এদিকে ভবনের ছাদ চুয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে নষ্ট হয় আদালত ও সাবরেজিষ্ট্রার অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। অন্যদিকে ডেমেজ ভবনের দেওয়াল ও নিরাপত্তা প্রাচীর যেকোন সময় ধসে পড়ার উপক্রম।

Manual2 Ad Code

সরেজমিনে আদালত ও সাবরেজিষ্ট্রার ভবনের দেয়াল, ছাদ, পিলার ও ভিমের বিভিন্ন স্থানে ফাটল থাকতে দেখা গেছে। জরাজীর্ণ ব্যবহার অনুপযোগী অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে রয়েছে আদালতের এজলাস, খাস কামরা, এপিপি কক্ষ, জিআরও কক্ষ, পুরুষ ও মহিলা হাজতখানা। অরক্ষিত নষ্ট হওয়ার পথে বিভিন্ন বিচারাধীন মামলার জব্দকৃত আলামত। দেওয়াল ও ছাদের বিভিন্ন স্থানের পলেস্তোরা খসে পড়েছে। ছাদ চুঁয়ে পড়ে বৃষ্টির পানি। ভবন সংকটে মহিলা হাজতখানায় বাস করেন আদালতের স্টাফ ও পুলিশ সদস্যরা। দেওয়াল ও ছাদ ধসে যেকোন সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।

Manual6 Ad Code

আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট গোপাল চন্দ্র দত্ত জানান, ডেমেজ ভবনে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলছে বিচারিক কার্যক্রম। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য গত ৬ বছরে কয়েক দফা আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আজও ব্যবস্থা নেওয়ার খবর পাননি। জনস্বার্থে দ্রুত নতুন আদালত ভবন নির্মাণ করা জরুরী।#

Manual4 Ad Code

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!