বাবা আমার বাবা আমার – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বিএনপি বার বার জনগণের ভালবাসায় সিক্ত হয়েছে-জি.কে গউছ ছাত্রশিবির কুড়িগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে থানা প্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় নিটারে প্রথমবারের মতো সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উদযাপিত বড়লেখা উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল : পুরনো নেতৃত্বেই নেতাকর্মীর আস্থা রাতে নিখোঁজ সকালে কচুরিপানার নিচে মিলল অবসরপ্রাপ্ত সাবরেজিস্ট্রারের লাশ ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ আবু সাঈদ জীবন দিয়ে ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতন ঘটাতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে- শিবির সভাপতি দোয়ারাবাজারে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ২ কমলগঞ্জে নানা আয়োজনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব পালিত সিলেট রেলস্টেশনে সর্বস্তরের নাগরিকবৃন্দের বিশাল মানববন্ধন :: ৮ দফা দাবি না কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী

বাবা আমার

  • শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

বাবা আমার
তৌহিদুর রহমান

বাবা ছিলেন ভীষণ রাগী,
কিছু হলেই দিতেন জারি;
বলতেন‌ দুনিয়াতে কে এসেছে আগে,
আমি নাকি তুই।
এরপর কি আর কথা থাকে
বিশেষ এক দুই।

আমার যখন জন্ম হলো
সেই মেলা আগে;
বাবা নাকি হলেন খুশি
যেন তিনি শিশু কালে।
ডেকে ডেকে সবাইকে
আমার কথা বলে।

যদিও আমি ছিলাম কালো,
দেখতে ন‌ই মোটেও ভালো;
তবুও কি বাবার মন মানে,
তাঁর সবটুকু ভালোবাসা
ছিল আমার পানে।

যখন‌ই কোন অসুখ হতো,
কষ্ট গুলো আমি ন‌ই
বাবাই যেন পেতো।

খাল, টিলা আর জঙ্গল পেরিয়ে,
ছুটতেন তিনি ডাক্তারখানায়;
ঔষধ নিয়ে আসতেন যখন,
পা দুখানা থাকতো ভরা কাদায়।

আমার নাকি অসুখ হলে,
থাকতো না তাঁর সেন্স;
তাইতো তাঁর ঘাড়
হয়ে যেত আমার অ্যাম্বুলেন্স।

জিয়া বলে ডাকতেন আমায়,
বড় মধুর সে ডাক;
যদিও আরেকটি নাম আছে আমার,
থাক এখন সে কথা থাক।

আমার ছিল টিভির নেশা,
আমরা ছিলাম গরীব চাষা;
টিভি পাবো ক‌ই?
তাইতো অন্যের বাড়ি
টিভি দেখতে ব‌ই।

টারজান হতো টিভিতে,
থাকতো রেসলিং;
দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে
যেত কোনদিন।

খুঁজে বাবা বের করে
আনতো বাড়িতে;
উত্তম মধ্যম কম হতো না
রেসলিং এর চেয়ে।

আমাদের অঞ্চল তখন
পাটকলে ভরা;
একটু বড় হলেই
সবার চাকুরী ধরা।

বাবা আমার চাননি তা,
চেয়েছিলেন পড়ালেখায় থাকুক তারা;
যদিও তাঁর খরচ বেশি,
এখানে আমরা আর বাড়িতে দাদারা।

একে একে মেট্রিক, আইএ,
বিএ, এম‌এ দিলাম পাস;
কি খুশি তাঁর,
গর্বে ফুলে উঠলো বুকের পাশ।

গ্ৰামে হলো তিন এম‌এ,
তাতে আছে ছেলের নাম;
সাইন্স থেকে সে’ই একা,
বলে চলে অবিরাম।

লেখাপড়া শেষ করে
চাকুরী একটা যোগালাম;
কাছে নয় সে বহু দূরে,
শ্রীমঙ্গল তার‌ই নাম।

কিন্তু বাবা বলে উঠলেন
এতো দূরে না গেলাম;
বহু কষ্টে রাজি করে
ঘরের বাইরে পা দিলাম।
(অসমাপ্ত)

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews