রাজনগর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের রাজনগরে আপীলে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন টেংরা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আকমল হোসেন। রবিবার বিকেলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনের কার্যালয়ে আপীল শুনানী শেষে তার আবেদন মঞ্জুর করা হয়। তবে কামারচাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী নজমুল হক সেলিমের আপীল আবেদন না-মঞ্জুর করা হয়েছে।
জানা যায়, চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী গত ২৯ নভেম্বর রাজনগরের ৮টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদের প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করা হয়। এদিন টেংরা ইউনিয়নের আকমল হোসেন ও কামারচাক ইউনিয়নের নজমুল হক সেলিমের প্রার্থীতা বাতিল করেন রিটানির্ং কর্মকর্তা। এক খেলাপী ঋণ গ্রহীতার জামিনদাতা হিসেবে টেংরা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আকমল হোসেনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। তিনি এই ঘটনায় গত ২ ডিসেম্বর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বরাবরে ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও অন্যান্য কাগজপত্র উপস্থাপন করে আপীল করেন। এ প্রেক্ষিতে রবিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে আপীল শুনানীতে তার আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থীতা মঞ্জুর করা হয়। এদিকে কামারচাক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ২৫ নভেম্বর মনোনয়ন জমা দেন বর্তমান চেয়ারম্যান নজমুল হক সেলিম ও আতাউর রহমান। ২৯ নভেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের দিন নজমুল হক সেলিমকে বাদ দিয়ে আতাউর রহমানকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হয়েছে মর্মে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত এক পত্রে জানানো হয়। এর প্রেক্ষিতে নজমুল হকের আবেদন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. গোলাম রব্বানী। তিনিও প্রার্থীতা ফিরে পেতে আপীল করেন। রবিবার আপীল শুনানীতে তার আবেদন না-মঞ্জুর করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
টেংরা ও কামারচাক ইউনিয়নের রিটানির্ং কমর্ংকর্তা মো. গোলাম রব্বানী বলেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের একটি সিদ্ধান্তের কাগজ আমার কাছে এসেছে। এতে টেংরার আকমল হোসেনের আপীল আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে বলে উল্ল্যেখ করা হয়েছে। তবে কামারচাকের মো. নজমুল হকের আবেদন খারিজ করা হয়েছে।#
Leave a Reply