বড়লেখা প্রতিনিধি ::
বড়লেখায় শনিবার (১ অক্টোবর) বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত গণতন্ত্র হত্যা ও কালো দিবস পালনের কর্মসূচির মিছিল-সমাবেশে হামলা চালিয়ে উল্টো বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এ্যাসল্ট মামলা করেছে পুলিশ। পৌরশহরের বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সম্মুখে এই হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। হামলা-সংঘর্ষে ৪ পুলিশ সদস্য ও ১১ জন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
দলীয় নেতাকর্মী, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের দেড়/দুইশত নেতাকর্মী গণতন্ত্র হত্যা দিবস ও কালো ব্যাজ ধারণ দিবস পালনের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করার জন্য পৌরশহরের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। বেলা আনুমানিক সাড়ে এগারোটার দিকে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে দক্ষিণ বাজারের দিকে রওয়ানা দিলে একদল পুলিশ তাদের বাধা দেয়। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশ নেতাকর্মীর উপর লাঠিচার্জ চালায়। পরে পুলিশ নির্বিচারে নেতাকর্মীর উপর হামলা চালায়। এতে অন্তত ১১ জন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হন। এসময় মূখোমুখি সংঘর্ষে পুলিশের এসআই বিকাশ চন্দ্র দাস, কাজী লিটন, আব্দুল হালিম ও সফিকুল ইসলাম নামে চার পুলিশ সদস্য আহত হন।
এই ঘটনায় বড়লেখা থানার এসআই অমিতাভ দাস তালুকদার উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবদুল কাদির পলাশ, ছাত্রদল নেতা মো. কাইফ আশরাফ, বিএনপি নেত্রী ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাহেনা বেগম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান খসরু, সহসভাপতি জাহিদুল ইসলাম মামুন, পৌর বিএনপির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলামসহ ৩৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও আরো ১৫/১৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় পুলিশ এ্যাসল্ট মামলা করেছে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাফিজ জানান, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিলে বিনা কারণে পুলিশ নেতাকর্মীদের উপর নির্বিচারে হামলা চালায়। পুলিশের হামলায় অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীর উপর হামলা চালিয়ে আহত করে পুলিশ উল্টো আমাদের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তিনি পুলিশের এই মিথ্যা মামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।
বড়লেখা থানার ওসি মো. সহিদুর রহমান জানান, বিএনপির লোকেরা লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে পৌরশহরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের উপর তারা হামলা চালায়। আমার চারজন পুলিশ সদস্য তাদের হামলা আহত হয়েছে। পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হয়েছে।
Leave a Reply