কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :: চা বাগানের দিকে তাকালে মনে হয় কেউ যেন ইচ্ছে করে গাছ কেটে দিচ্ছে যাতে চা পাতা আর উৎপাদন না হয়। বাহ্যিক দৃষ্টিতে এমন দেখালেও এর বাস্তবতা ভিন্ন। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শীত মৌসুম শুরুর সাথে সাথে চা বাগান গুলোতে শুরু হয়েছে প্রুনিং’ বা (কলম) দেওয়ার কাজ। পরবর্তী মৌসুমে অধিক চা-পাতা উৎপাদনের জন্য এই প্রুনিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ফলে আগামী দুই থেকে তিনমাস পাতা উৎপাদন প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।
জানা যায়, বছরের এই সময়ে চা গাছে ফুল আসার কারণে চা পাতা উৎপাদন অনেকটা কমে যায়। উৎপাদন বাড়ানো জন্য চা গাছের এক-দুটি শাখা রেখে অন্যান্য শাখা গুলো ছাঁটাই করা হয়।
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) সুত্রে জানা যায়, চা গাছকে মূল্যবান করার জন্য অপ্রয়োজনীয় ডাল পালা কর্তনকে প্রুনিং বলে। প্রুনিং এর কারনে চায়ের গাছে অনেক শাখা প্রশাখা বৃদ্ধি পায়। ফলে নতুন মৌসুমে সজিব ও সতেজ পাতা অনেক বেশি পাওয়া যায়। একই সাথে সব চা বাগানে প্রুনিং করা হয়না। যে-সব সেকশনে প্রুনিং প্রয়োজন হয় সেই সব সেকশনে শুধু এটি করা হয়।
সরেজমিনে উপজেলার আলীনগর চা বাগানে দেখা যায়, চা গাছের একটি বা দুটি ডাল রেখে নিদিষ্ট পরিমাপে অন্যান্য সব ডাল কেটে ফেলা হচ্ছে। প্রুনিং করা গাছে সাদা রং দেওয়া হয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুমে প্রুনিং করা গাছে ডাল-পালা বৃদ্ধি পাবে। একই সাথে চা পাতা উৎপাদনও বাড়বে।
চা শ্রমিক কৃষ্ণ দাস জানান, শীত মৌসুম আসলে যে বাগানে প্রুনিং প্রয়োজন হয়। প্রুনিং এর কারণে গাছ কেটে ফেলা হলেও গাছের কোন ক্ষতি হয়না বরং চা পাতার উৎপাদন আরও বাড়ে। তবে এই কর্তন গাছের ক্ষতি করার জন্য নয়। বরং পুরোপুরি উপকার করার জন্য। এভাবে কেটে ফেলার এই পদ্ধতিকে ‘প্রুনিং’ বা ‘কলম করা’ বলে।
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, চা বাগানে এখন শীতকালীন পরিচর্যা চলছে। চা গাছে প্রুনিং করার কারনে গাছে প্রচুর শাখা প্রশাখা বৃদ্ধি পায়। শাখা প্রশাখা বৃদ্ধির কারনে উৎপাদন ভালো হয় বলে তিনি জানান।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply