বড়লেখায় ইউপি সদস্যের কাণ্ড-জীবিত ভাতাভোগীর মৃত্যুসনদ দিয়ে অন্যকে প্রতিস্থাপনের অপচেষ্টা বড়লেখায় ইউপি সদস্যের কাণ্ড-জীবিত ভাতাভোগীর মৃত্যুসনদ দিয়ে অন্যকে প্রতিস্থাপনের অপচেষ্টা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখায় কনেপক্ষের চাহিত দেনমোহর দিতে রাজি না হওয়ার জেরে ছেলের হাতে পিতা খুন কমলগঞ্জে ভারতীয় মদসহ আটক ২ সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে দূর্ঘটনায় এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু বড়লেখায় ৯ মাসের পাকার কাজ ১৩ মাসে ৩ ভাগ! ঠিকাদারের স্বেচ্ছাচারিতায় চরম ভোগান্তি কমলগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহত : আহত ২ : আটক ৩ জন কুলাউড়ায় অজ্ঞাত বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার কুলাউড়ায় এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি শতভাগ বাস্তবায়ন করেছে ৩টি প্রতিষ্ঠান ৩ মাস থেকে ১২ চা বাগানের শ্রমিকদের রেশন-বেতন বন্ধ কুলাউড়ার নবারুন আদর্শ বিদ্যাপীটের সভাপতির প্রবাস গমন উপলক্ষে সংবর্ধনা প্রদান কমলগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো খাসিয়াদের বর্ষবিদায় উৎসব “সেং কুটস্নেম”

বড়লেখায় ইউপি সদস্যের কাণ্ড-জীবিত ভাতাভোগীর মৃত্যুসনদ দিয়ে অন্যকে প্রতিস্থাপনের অপচেষ্টা

  • মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২২

বড়লেখা প্রতিনিধি::

বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়েনের দশঘরি গ্রামের আশি বছর বয়সি অতিদরিদ্র ও অসুস্থ আমিন আলী। প্রায় ১২ বছর থেকে পাচ্ছেন বয়স্ক ভাতা। ভাতার টাকায় ওষুধপাতি করেন। পাঁচ মাস ধরে ভাতা বন্ধ থাকায় উপজেলা সমাজসেবা অফিস ও ব্যাংকে দৌঁড়ঝাপ দিয়েও কুলকিনারা পাননি। অবশেষে মঙ্গলবার পুরনো ভাতার বহি হাতে নিয়ে সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারেন তিনি গত বছরের ৮ অক্টোবর মারা গেছেন! ইউপি সদস্য শহিদ মিয়া তার মৃত্যুসনদ দিয়ে একই গ্রামের লবনী কান্ত দাস নামক ব্যক্তিকে প্রতিস্থাপনের আবেদন করেছেন। এ খবর শূনে কর্মকর্তার কার্যালয়েই তিনি হাইমাউ করে কেঁদে ওঠেন। তিনি আইন আদালতের কাছে ওই ইউপি সদস্যের বিচার চান।

ভুক্তভোগী বৃদ্ধ আমিন আলী অভিযোগ করেন, ইউপি সদস্য শহিদ মিয়া অজ্ঞাত কারণে দীর্ঘদিন ধরে তাকে নানাভাবে হয়রানী করছেন। ৫-৬ মাস ধরে ভাতা না পাওয়ায় কয়েকদিন উপজেলা সমাজসেবা অফিস ও ব্যাংকে গিয়েও কোন কারণ খুঁজে পাইনি। কর্মকর্তা ভাতার বহি নিয়ে যোগাযোগ করতে বলায় মঙ্গলবার সেখানে যান। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার অনেক খুঁজাখুঁজির পর দেখতে পান ইউপি সদস্য শহিদ মিয়া আমার মৃত্যুসনদ দিয়ে আমার ভাতার বিপরীতে লবনী কান্ত দাস নামে তার পছন্দের এক ব্যক্তিকে প্রতিস্থাপনের কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। তার এই সর্বনাশের জন্য তিনি ইউপি সদস্যের শাস্তি দাবী করেন।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, বুদ্ধ লোকটি নানা রোগে আক্রান্ত। চলাফেরায় কষ্ট হয়। কোন কাগজ ছাড়াই ভাতার খোঁজখবর নিতে আসেন। পরে বহি নিয়ে আসলে দেখতে পান উনার মৃত্যুসনদ দিয়ে ইউপি মেম্বার শহিদ মিয়া আরেকজনকে প্রতিস্থাপন করতে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। জীবিত ভাতাভোগীকে মৃত দেখানো অমানবিক, মারাত্মক অন্যায় ও অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। তিনি ওই বৃদ্ধের ভাতা বহালের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

এব্যাপারে ইউপি সদস্য শহিদ মিয়া জানান, ভাতাভোগী আমিন আলীর অপর ভাতাভোগী ভাই আমান আলী গত বছর মারা গেছেন। তিনি ভুলবশত আমিন আলীর মৃত্যুসনদটি দিয়েছেন, এটা ঠিক হয়নি। বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি না করার অনুরোধ জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews