কমলগঞ্জে দলই চা বাগান চালু : শ্রমিক নেতাদের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবি – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শনে রেলওয়ে সচিব- সম্পন্নের ডেডলাইনেও বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় বড়লেখায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নফল রোজা শেষে ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুলাউড়ায় আদালতের নির্দেশনা ভঙ্গ করে কৃষকদের জমিতে ফসল রোপণের অভিযোগ ছাতকের ইউএনও’কে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান ফুলবাড়ীতে বিজিবি’র অভিযানে মাদকদ্রব্য ও ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার সহকারি শিক্ষকদের সাটডাউন- বড়লেখায় কক্ষের তালা ভেঙ্গে পরীক্ষা নেওয়ালেন অভিভাবকরা কুলাউড়ার মুরইছড়া  সীমান্তে  ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বিএসএফের গুলিতে  যুবক নিহত কুলাউড়ায় নাগরিক সমন্বয় প্রকল্পের বার্ষিক টাউন হল মিটিং কর্মক্ষেত্রের চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তুলতে হবে- ইউএনও মহিউদ্দিন বড়লেখায় প্রধান শিক্ষককে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা প্রাক্তন ছাত্র গ্রেফতার

কমলগঞ্জে দলই চা বাগান চালু : শ্রমিক নেতাদের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবি

  • সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০২০

Manual7 Ad Code

এইবেলা, কমলগঞ্জ ::

Manual1 Ad Code

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ব্যক্তি মালিকানাধীন দলই চা বাগান দীর্ঘ ২৮দিন ধরে বন্ধ থাকা বাগান চালু এবং শ্রমিক নেতৃবৃন্দের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা নিঃশর্ত প্রত্যাহার করার দাবিতে দলই বাগান থেকে প্রায় ১৮ কি:মি: পথ লংমার্চ করে কমলগঞ্জ উপজেলা চৌমুহনা চত্বরে দেড়ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে চত্বরে চা শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

দলই চা বাগান বন্ধ থাকার পর গত ১৯ আগষ্ট বাগান চালু নিয়ে ম্যানেজমেন্টের সাথে শ্রমিকদের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ২২ আগস্ট স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, চা শ্রমিক নেতাসহ ১৩ জন চা শ্রমিকের নামে মারপিট, গাড়ি ভাঙ্গচুর ও টাকা ছিনাইয়ের অভিযোগে থানায় মামলা করেন দলই চা বাগান কোম্পানীর এজিএম খালেদ মঞ্জুর খান। মামলার প্রতিবাদে ও বাগান বন্ধের প্রতিবাদে দলই চা বাগান শ্রমিকরা সোমবার বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে।

Manual4 Ad Code

কমলগঞ্জ উপজেলা থেকে প্রায় ১৮ কি.মি. দূরে দলই চা বাগান শ্রমিকরা সোমবার সকাল ১০টায় পায়ে হেঁটে মিছিল সহযোগে দুপুরের পর কমলগঞ্জ উপজেলায় চৌমুহনায় পৌঁছায়। উপজেলা চৌমুহনায় নারী শ্রমিক নেত্রী গীতা রানী কানুর নেতৃত্বে তিন শতাধিক শ্রমিক সড়ক অবরোধ করে ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। দেড়ঘন্টা সড়ক অবরোধের পর তারা উপজেলা প্রশাসনের সম্মুখে অবস্থান নেয়।

নারী চা শ্রমিক নেত্রী গীতা রানী কানুসহ দলই চা বাগান শ্রমিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মামলা দিয়ে দলই চা বাগান মালিক পক্ষ শ্রমিকদের হয়রানি করতে চায়। চা বাগান কর্তৃপক্ষ বেআইনীভাবে গত ২৭ জুলাই বাগান বন্ধ করেছে। এটি কোনমতেই কাম্য নয়। দীর্ঘদিন ধরে চা বাগান শ্রমিকরা অনাহার, অর্ধাহারে দিনযাপনের অভিযোগ তুলে শ্রমিকরা অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও দলই চা বাগান চালুর দাবি জানান।

এদিকে গত ২৮ দিন যাবৎ কমলগঞ্জের দলই চা-বাগান বন্ধ। এরই ভেতর দুই নারী শ্রমিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ নিয়ে থানায় যান চা-শ্রমিকরা। কিন্তু কমলগঞ্জ থানা কর্তৃপক্ষ মামলাটি নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে দলই চা-বাগান কর্তৃপক্ষের মামলা নিয়েছে পুলিশ। দলই চা বাগান শ্রমিক পঞ্চায়েত কমিটির সম্পাদক সেতু রায় বলেন, ‘এজিএম কর্তৃক দুই নারী চা-শ্রমিক লাঞ্চিত হয় গত ১৯ আগস্ট। আমরা মামলা দিতে যাই। কিন্তু, মামলা নেয়নি পুলিশ। উল্টো পুলিশ বলেছে আমরা কারো মামলা নেবো না। এই বলে আমাদের ফেরত পাঠিয়েছে। অথচ শনিবার রাতে শুনলাম চা-শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।’

মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়, প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মধ্যস্থতায় দলই চা-বাগানে স্বাভাবিক কার্যক্রম ১৯ আগস্ট থেকে চালুর সিদ্ধান্ত হয়। দীর্ঘদিন পর দলই চা-বাগানের উৎপাদন কার্যক্রম পুনরায় সচল হওয়ায় তিনি (এজিএম খালেদ মঞ্জুর খান) কোম্পানির সহকারী মহাব্যবস্থাপক হিসেবে ১৯ আগস্ট সকাল ১১টায় তদারকি কাজে চা-বাগানে গিয়েছিলেন। সে সময় চা-বাগানের ব্যবস্থাপক, সহকারী ব্যবস্থাপকসহ বাগানের সব কর্মচারীর জুলাই মাসের বেতন ও মজুরি পরিশোধের জন্য নগদ ১০ লাখ টাকা নিয়ে যান তিনি। তখন মামলার সব আসামিরা লাঠি, লোহার রড নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে কোম্পানির জিপ গাড়ির গতিরোধ করে। সে সময় এক নম্বর আসামির নির্দেশে বাকি আসামিরা গাড়ির কাচ ভাঙচুর করেন। আসামিরা তাকে জোরপূর্বক টেনে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে জখম করে। আসামিরা গাড়িতে রাখা ব্যাগের ভেতর রাখা ১০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে আসামিরা একটি নোহা মাইক্রোবাসে করে পালিয়ে যায়। পরে তিনিসহ আহতরা মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ফলে ঘটনার দুই দিন পর শনিবার রাতে কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামি চা-শ্রমিক নেতা ও মাসিক চা মজদুর সম্পাদক সীতারাম বীন বলেন, ‘ঘটনার দিন সকালে দলই চা-বাগানের সহকারী মহাব্যবস্থাপক এ মামলার বাদী খালেদ মঞ্জুর খান বাগানের দুই নারী চা-শ্রমিককে লাঞ্চিত করায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ইট-পাটকেল মেরে জিপ গাড়ির কাঁচ ভেঙেছে। এর চেয়ে বেশি কোনো ঘটনা ঘটেনি। এখন যাতে অনাহারে থাকা চা-শ্রমিকদের অর্থ ও খাদ্য সহায়তা না দিতে হয়, সেজন্য ঘটনার দুই দিন পর পরিকল্পিতভাবে মামলা সাজিয়েছেন। অথচ ঘটনার পর লাঞ্চিত নারী চা-শ্রমিকরা কমলগঞ্জ থানায় গিয়ে অভিযোগ দিলেও থানা সে অভিযোগ গ্রহণ করেনি।’

Manual6 Ad Code

তবে কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে কমলগঞ্জ থানার এসআই সিরাজুল ইসলামকে।’ শ্রমিকদের মামলা না নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তা অস্বীকার করে ওসি বলেন, ‘এই অভিযোগ মিথ্যা। তারা অভিযোগ নিয়ে আসেনি।#

Manual2 Ad Code

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!