বর্তমানে সরবরাহকৃত বীজে কমলগঞ্জের লোকসানে চাষীরা- বোরো বীজের মূল্য বৃদ্ধির দাবি বর্তমানে সরবরাহকৃত বীজে কমলগঞ্জের লোকসানে চাষীরা- বোরো বীজের মূল্য বৃদ্ধির দাবি – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়ার নবারুন আদর্শ বিদ্যাপীটের সভাপতির প্রবাস গমন উপলক্ষে সংবর্ধনা প্রদান কমলগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো খাসিয়াদের বর্ষবিদায় উৎসব “সেং কুটস্নেম” বড়লেখায় শিক্ষা ও সেবা ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা ও পুরস্কার বিতরণ কুড়িগ্রামে শ্রমিক লীগ নেতাকে শ্রমিক দলে রাখার পায়তারা বড়লেখায় পৌর যুবদল নেতার মামলায় ২ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার বড়লেখায় শিক্ষক ও সাংবাদিক মইনুল ইসলামের ইন্তেকাল : শোক প্রকাশ নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিটার মিনিবার নাইট ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন এফসি ডার্ক নাইট একজন মেহেদী হাসান রিফাতের গল্প : স্বপ্ন থেকে সাফল্যের পথে আত্রাইয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

বর্তমানে সরবরাহকৃত বীজে কমলগঞ্জের লোকসানে চাষীরা- বোরো বীজের মূল্য বৃদ্ধির দাবি

  • বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:: বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কাছে সরবরাহকৃত উৎপাদিত বীজের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে লোকসান গুনছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার চুক্তিবদ্ধ চাষীরা। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যেল উর্ধ্বগতির বাজারে বিএডিসি বীজের যে দাম দেয়ার সিদ্ধান্ত করেছে তাতে উৎপাদন খরচই উঠছে না বলে চাষীরা দাবি তুলেছেন। বোরো ধান বীজের দর পুণ:নির্ধারণের জন্য সম্প্রতি বিএডিসি’র সিলেটস্থ উপ-পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কমলগেঞ্জর চুক্তিবদ্ধ চাষীরা।

বীজ উৎপাদনকারী চাষীরা জানান, গত ধান বীজের প্রদানকৃত দর ২০২২-২৩ উৎপাদন বর্ষে তাদের জন্য বীজ উৎপাদন ব্যয় মিটানো সম্ভব হচ্ছে না। গত পাঁচ জুলাই সিলেট জোনের উপ-পরিচালকের কাছে আবেদনের প্রেক্ষিতে বীজ ধানের কেজি প্রতি এক টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে চাষীরা এক টাকা বৃদ্ধিতে লোকসান কোনমতেই কাটিয়ে উঠা সম্ভব নয়।

কমলগঞ্জের চুক্তিবদ্ধ চাষী নগেন্দ্র কুমার সিংহ, আতিকুল ইসলাম, মোবাশ্বির আলী বলেন, সারাদেশে দ্রব্যমূল্য যখন আকাশচুম্বি, সরকারের ধান, চাল সংগ্রহে দাম বৃদ্ধি সেখানে ধান বীজ সংগ্রহে দর নি¤œমুখী করায় চুক্তিবদ্ধ চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ইতিমধ্যে অনেকেই ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়েছেন। এতে ধান বীজ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারা আরো বলেন, ১৯৮১ সালের নিয়মে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ দর নির্ধারণ করেছে। পক্ষান্তরে বীজ সরবরাহের ক্ষেত্রে বিএডিসি গ্রেডিং চার্জ কেজি প্রতি ১৫ পয়সা থেকে ৪ গুণবৃদ্ধি করে ৬০ পয়সা করেছে। অথচ যে প্রক্রিয়া দর ধার্য করা হয় সেবিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর নজরদারি না করে আগের নিয়মে দর ধার্য করেছেন।

কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ধান বীজ সরবরাহের ৩ থেকে ৭ মাস পর বিল প্রদান করা হয়। এতেও আমরা চুক্তিবদ্ধ চাষীরা আরো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। অথচ চাল-ধান সংগ্রহের পর সাথে সাথে বিল প্রদান করা হয়। চুক্তিকালে ধানের কোন দর নির্ধারণ করা হয় না। বর্তমানে জমি লিজ, সেচ, সার, কীটনাশক, কীটনাশক, শ্রমিকের মজুরিসহ আনুষঙ্গিক খরচাদি উর্ধ্বমুখী। সবমিলিয়ে বর্তমানে বীজ উৎপাদন খরচের তুলনায় চুক্তিভিত্তিক চাষীদের কম মূল্য দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে ধান বীজের উৎপাদন ব্যয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে কেজি প্রতি ৫২ থেকে ৫৪ টাকা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। বীজের মূল্য দেরীতে ও তিন কিস্তিতে না দিয়ে বীজ ধান সংগ্রহের দ্রুত সময়ের মধ্যে এক কিস্তিতে বিল প্রদানের দাবি জানান তারা। আগামীতে বীজধান সংগ্রহের পূর্বে বীজের যথাযথ মূল্য নির্ধারণ করে বীজধান সংগ্রহ করার জন্যও কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি তুলেন।

এ ব্যাপারে বিএডিসি’র সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক আশুতোষ দাস বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখেন। আমাদের কাছে চাষীদের অভিযোগের বিষয় আমরা সেখানে পাঠিয়ে দেই।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews