প্রশ্ন : লিঙ্গ রূপান্তর নিয়ে ইসলাম কী বলে?
উত্তর : নারী-পুরুষের বেশভূষা গ্রহণ অথবা পুরুষ-নারীর বেশভূষা গ্রহণের উদ্দেশে দেহাবয়বে যে কোনো ধরনের পরিবর্তন ইসলামি শরিয়তে সুস্পষ্ট হারাম। এটি আল্লাহর সৃষ্টির বিকৃতির অন্তর্ভুক্ত।
হজরত হারিস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) অভিসম্পাত করেছেন সুদখোর, সুদদাতা, সুদের সাক্ষী, সুদের লেখক এবং যে শরীরে দাগ দেয়, যাকে দাগ দেওয়া হয়। এক ব্যক্তি বলল, রোগের জন্য ছাড়া? তিনি বলেন, হ্যাঁ। (নাসায়ি, হাদিস : ৫১০৪)
আল্লাহতায়ালা তার সৃষ্টির পরিবর্তন-পরিবর্ধনকে শয়তানের কাজ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘সে (শয়তান) বলে— আমি অবশ্যই তোমার (আল্লাহর) বান্দাদের এক নির্দিষ্ট অংশকে আমার অনুসারী করে নেব। আমি তাদের পথভ্রষ্ট করবই; তাদের হৃদয়ে মিথ্যা বাসনার সৃষ্টি করব। আমি তাদের নিশ্চয়ই নির্দেশ দেব আর তারা পশুর কর্ণোচ্ছেদ করবেই এবং তাদের নিশ্চয়ই নির্দেশ দেব আর তারা আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবেই। (আল্লাহ বলেন) আল্লাহর পরিবর্তে কেউ শয়তানকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করলে সে স্পষ্টভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১১৬-১১৯)
উপরোক্ত আয়াতে অভিশপ্ত শয়তান মহান আল্লাহকে বলেছিল, যে ‘নিশ্চয়ই নির্দেশ দেব আর তারা আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবেই।’ বোঝা গেল অহেতুক নিজের শরীরে বিকৃত সৃষ্টি করা মহান আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃত করার অন্তর্ভুক্ত।
আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, ‘আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন ওই সমস্ত নারীর প্রতি, যারা অন্যের শরীরে উল্কি অঙ্কন করে, নিজ শরীরে উল্কি অঙ্কন করায়, যারা সৌন্দর্যের জন্য ভ্রূ চুল উপড়িয়ে ফেলে এবং দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে। সেসব নারী আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃতি আনয়ন করে। ’ (বুখারি, হাদিস : ৪৮৮৬)
যেসব নারী পুরুষের বেশভূষা নিতে চায়, যেসব পুরুষ নারীর বেশভূষা নিতে চায়— মহানবী (সা.) তাদের অভিসম্পাত করেছেন। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুল (সা.) নারীর বেশধারী পুরুষদের এবং পুরুষের বেশধারী নারীদের অভিসম্পত করেছেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৭৮৫)
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি তোফায়েল গাজালি
তথ্যসূত্র :: যু
caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6085caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6085
Leave a Reply