বড়লেখা প্রতিনিধি : বড়লেখায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতন জীবন যাপন করছেন। বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে দুর্গতরা। বন্যায় বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়াদের সংখ্যা ক্রমশঃ বাড়তে থাকায় উপজেলা প্রশাসন বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ২৫টি থেকে ৩৩ টিতে বৃদ্ধি করেছে। এতে ৬ শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রেও যেন স্থান সংকুলান হচ্ছে না। অপর দিকে ত্রাণের জন্য চলছে হাহাকার। শুক্রবার ২১ জুন দুপুরে সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার রোকন উদ্দিন বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়নের কয়েকটি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের দুর্গত পরিবারের মাঝে ত্রাণের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
এদিকে কুলাউড়া-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের কয়েক স্পটে সড়কের উপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল করলেও হালকা যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। জুড়ী থানা কমপ্লেক্স ভবন ও জুড়ী উপজেলা প্রশাসনিক ভবন গত ৫ দিন ধরে পানিবন্দী রয়েছে। এতে দাপ্তরিক কাজকর্ম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

বড়লেখা ইউএনও নাজরাতুন নাঈম জানান, বড়লেখায় ২২ টি স্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। দুর্গতদের সংখ্যা বাড়ায় আরো ১১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়। মোট ৩৩ টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬ শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মাঝে শুকনো খাবারসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। প্রাপ্ত ত্রাণ বন্টন চলছে। আরো ত্রাণের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত দুর্গতসহ উপজেলার প্রত্যেক এলাকার পানিবন্দি মানুষের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন। ত্রাণ বিতরণের জন্য ট্যাগ অফিসার নিযুক্ত করেছেন।
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply