বর্তমান সময়ের সুপরিচিত লেখক কবি ফাহমিদা ইয়াসমিন। তার “বিদ্রাহী বিক্ষোভ” বইটি বেশ মনোযোগ দিয়ে পড়লাম।বইটি পড়ে বই নিয়ে একটা পাঠালোচনা না লিখলেই না হয় মনে হলো।বইটি নিয়ে বলার পূর্বে একটা কথা বলতেই হয় যে,বইটার চমকপ্রদ প্রচ্ছদ আপনার দৃষ্টি কাড়বে, বইটি একটু ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে হবে।খুবই নান্দনিক প্রচ্ছদ। বইয়ের বাইন্ডিংও সুন্দর, বেশ আকর্ষণীয়। বইটি যখন হাতে নিয়ে দু’একটা কবিতা আপনি পড়বেন,তখন বইয়ের সবকটা কবিতা না পড়ে বইটি রাখতে আপনার একদমই মন চাইবে না।
“বিদ্রোহী বিক্ষোভ” বইটি কাব্যগ্রন্থ।প্রতিটি কবিতাচয়ন বেশ প্রাণবন্ত। কবি “কষ্টের সমগ্র বরফ কবিতায় বেশ সুন্দর উপমায় বলেছেন..
ভাগ করে নেবো
অল্প জীবনের গল্প গুলো
মিটিয়ে দিবো অসুখের সারাংশ।
আহা কতো মাধুর্যও সাহিত্যরসে ভরপুর কবির কথামালা। এতো সহজ শব্দচয়ন অথচ মর্মাহত কতোই না গভীর।
কবি তার “মানুষগুলো এমন কেন” কবিতায় সত্যকে চমতকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন, তিনি বলেন
মানুষগুলো এমন কেন
হঠাৎ করে বদলে যায়,
দিনে দিনে হয় পুরাতন
কোন কারণে বলবে হায়।
কবি বাস্তবতাকে তুলে ধরে নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করছেন, কবির উপলব্ধি বেশ স্বচ্ছ আর চেতনাবাহী তার লেখাগুলো।
কবির প্রতিটি লেখাই বেশ উচ্চমার্গীয় এবং মমননশীল। দারুণ শব্দচয়ন আর উপমার কারসাজি।
কবি তার “”স্বাধীনতা তুমি””কবিতায় তার পোক্তহাতের স্বাক্ষর রেখেছেন।
এ কবিতায় তিনি বলেন..
স্বাধীনতা তুমি
সদ্য প্রসভিত শিশুর
মুক্ত কান্না,
স্বাধীনতা তুমি
মায়ের কোলে সেই শিশুর
হাসির বন্যা।
কবিতাটিতে তিনি নিখুঁতভাবেই স্বাধীনতাকে তুলে এনেছেন।বইটির প্রতিটি লেখা পাঠক মনে চেতনা বিকাশ করবে।দেশও মানুষের প্রতি ভালোবাসাও মমতা সৃষ্টিতে অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে আমার বিশ্বাস। কবি’র এই কাব্য সাধানা ধারাবাহীক থাকুক,এবং আমাদেরকে এমন সাহিত্য ভাণ্ডার দিয়ে উপকৃত করবেন এই আশা রাখি।
জেএইচজে
Leave a Reply