সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখায় জামায়াতে ইসলামীর প্রীতি সম্মেলন বড়লেখায় অবৈধভাবে টিলা কর্তনে বসতঘর ধসে পড়ার হুমকিতে নিরীহ ৩ পরিবার ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের উঠান বৈঠক ভূরুঙ্গামারীতে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার  গাজায় হামলার প্রতিবাদে নিটারে শিক্ষার্থীদের “নো ওয়ার্ক” কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল আত্রাইয়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে ভুট্টা চাষ: বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে কমলগঞ্জে বিক্ষোভ মৌলভীবাজারে পারিবারিক কোন্দলে সন্তানদের হাতে বাবা ‘খু ন’ চা-শ্রমিক সংঘের সভায় বক্তারা : অবিলম্বে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি রেশন ও বোনাস প্রদানের দাবি কর্ণেল (অব:) সালেহ আহমদের মৌলভীবাজার-৪ আসনে প্রার্থীতার ঘোষণা

সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা

  • বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫

এইবেলা, বিয়ানীবাজার:: 

বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়ন (বিয়ানীবাজার)-এর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিয়ানীবাজারের গজুকাটা বিওপিতে সীমান্ত রক্ষা, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, চোরাচালান দমন, অবৈধ সীমান্ত পারাপার, নারী ও শিশু পাচার, মাদকদ্রব্য পাচার, মানব পাচার এবং অস্ত্র পাচার প্রতিরোধ সংক্রান্ত জনসচেতনতামুলক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবির নানা কাযর্ক্রম তোলে ধরেন বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মেহেদী হাসান পিপিএম। 

তিনি জানান, বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষায় ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ একটি নিবেদিত ও সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী, সুশৃংখল এবং প্রশিক্ষিত বাহিনী যা সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে পরিচিত। এ বাহিনীর রয়েছে সু-দীর্ঘ ২৩০ বৎসরের ঐতিহ্য, বিরত্ব ও গৌরাবান্বিত ইতিহাস। আপনারা জেনে থাকবেন বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলা ও মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা এবং জুড়ী উপজেলায় সর্বমোট ১১৩.৫ কিঃ মিঃ সীমান্ত এলাকায় সীমান্ত রক্ষা, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, চোরাচালান দমন, অবৈধ সীমান্ত পারাপার, নারী ও শিশু পাচার, মাদকদ্রব্য পাচার, মানব পাচার এবং অস্ত্র পাচার প্রতিরোধ করাসহ বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করে থাকে। এ ছাড়াও সীমান্তে বসবাসরত জনসাধারণের জান-মাল রক্ষা করতেও বিজিবি অঙ্গীকারবদ্ধ। মনে রাখতে হবে সীমান্তে মানবাধিকার লঙ্গনসহ সীমান্ত চুক্তির যে কোন ব্যত্যয় ঘটলে বিজিবি তার জোরালো প্রতিবাদলিপিসহ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন কর্তৃক সীমান্ত এলাকায় অসহায় মানুষের পাশে থেকে প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণকে বিভিন্ন প্রকারের সহযোগিতা প্রদানসহ, শীতকালে শীতবস্ত্র বিতরণ, গরীব দুস্থদের মাঝে জীবনের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ, ইফতার সামগ্রী বিতরণ, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণসহ নানাবিধ কর্মকান্ড সুনামের সাথে পালন করে আসছে।

বিজিবি কমান্ডার আরো বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সমসাময়িক সময়ে একটি বিষয় খুব গুরুত্বের সাথে আলোচিত হচ্ছে আর তা হচ্ছে সীমান্ত হত্যা। সীমান্তে যে কোন ধরনের হত্যা কিংবা শারীরিক নির্যাতন একটি গর্হিত কাজ। বাংলাদেশ সরকার এবং বিজিবি সর্বদাই এর নিন্দা জানিয়ে আসছে। সীমান্ত লঙ্গনের অপরাধে কাউকে গুলি করে হত্যা করা কখনই সমাধন হতে পারে না। কোন ভাবেই আমরা বিচার বর্হিভূত এই ধরনের হত্যাকে সমর্থন করি না। দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীদের মধ্যে উঁচু পর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়ে বরাংবার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এই সীমান্ত হত্যায় নিহত পরিবারই একমাত্র স্বজন হারানোর বেদনা ও ক্ষতি সম্পর্কে অবগত। অন্য কেউ এর গভীরতা পরিমাপ করতে পারবে না।

এছাড়াও, সুষ্ঠু সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণের সহযোগিতা ও পজেটিভ মনোভাব একান্ত প্রয়োজন। আমি চাইবো সীমান্ত এলাকায় কোথাও কোন নিয়ম বর্হিভূত ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে তা নিকটবর্তী বিজিবি ক্যাম্পে কিংবা ইউনিটে অবগত করার জন্য। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো খুব দ্রুত ঐ সব অনাকাংখিত ঘটনাসমূহের সমাধানকল্পে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।

বর্তমানে মাদকাসক্তি আমাদের সমাজে এক সর্বনাশা ব্যাধিরূপে বিস্তার লাভ করেছে। মাদকদ্রব্যের বিস্তারে বিশ্ববাসী আজ সংকীত। দূরারোগ্য ব্যধির মতই তা তরুন সমাজকে গ্রাস করছে। বিঘ্নিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন। এর তীব্র দংশনে ছটফট করছে কত তরুন ও যুব সমাজ। মাদকের ভয়াবহ পরিনতি দেখে আজ প্রশাসন বিচলিত, অভিভাবকগণ আতংকিত, চিকিৎসকরা দিশেহারা। তরুণ যুব শক্তিই দেশের প্রাণ ও মেরুদন্ড। তাই আমি চাইবো মাদক পাচার প্রতিরোধে মাদক পাচার ও সেবন হতে বিরত থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিক, জনসাধারণ বিজিবিকে তথ্য দিয়ে মাদক কারবারীদের ধরিয়ে দিবেন। পাশাপাশি বিজিবি তার গোয়েন্দা নজরদারীর জালে সবসময় এই গডফাদাকে ধরার পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে। মাদক কে না বলুন এবং মাদকের বিরুদ্ধে বিজিবি’র সর্বদাই শক্ত অবস্থান এবং জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করবে।

তিনি সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ি, গণমাধ্যম প্রতিনিধি, গন্যমান্য ব্যক্তিসহ সকলের প্রতি অনুরোধ জানান, দেশকে ভালোবেসে, দেশের মাটিকে সম্মান করে সীমান্ত এলাকা সংগঠিত যে কোন অপরাধ প্রতিরোধে বিজিবিকে সহায়তা করার। বিশাল এই এলাকায় বিজিবির স্বল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে চোরাচালান, মাদক পাচার, নারী ও শিশু পাচার, অস্ত্র পাচার ইত্যাদিসহ আন্তঃ রাষ্ট্রীয় অপরাধ প্রতিরোধকরা সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে আপনাদের সঠিক তথ্য, সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। তবেই দেশটাকে দূর্নীতি মুক্ত করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে এবং সোনার বাংলা গড়া সম্ভব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews