আত্রাইয়ে পাট চাষে দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শনে রেলওয়ে সচিব- সম্পন্নের ডেডলাইনেও বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় বড়লেখায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নফল রোজা শেষে ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুলাউড়ায় আদালতের নির্দেশনা ভঙ্গ করে কৃষকদের জমিতে ফসল রোপণের অভিযোগ ছাতকের ইউএনও’কে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান ফুলবাড়ীতে বিজিবি’র অভিযানে মাদকদ্রব্য ও ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার সহকারি শিক্ষকদের সাটডাউন- বড়লেখায় কক্ষের তালা ভেঙ্গে পরীক্ষা নেওয়ালেন অভিভাবকরা কুলাউড়ার মুরইছড়া  সীমান্তে  ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বিএসএফের গুলিতে  যুবক নিহত কুলাউড়ায় নাগরিক সমন্বয় প্রকল্পের বার্ষিক টাউন হল মিটিং কর্মক্ষেত্রের চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তুলতে হবে- ইউএনও মহিউদ্দিন বড়লেখায় প্রধান শিক্ষককে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা প্রাক্তন ছাত্র গ্রেফতার

আত্রাইয়ে পাট চাষে দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা

  • সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫

Manual1 Ad Code

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি ::

Manual7 Ad Code

উত্তর জনপদের শষ্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ে এক সময় ধান ও পাট ছিল সমানতালে চাষযোগ্য ফসল। ‘সোনালি আঁশথ খ্যাত পাট বিদেশে রপ্তানি করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই পাট চাষ আজ হুমকির মুখে। নানা প্রতিবন্ধকতায় কৃষকের আগ্রহ ক্রমেই কমছে এ ফসলের প্রতি। তুলনামূলকভাবে এ বছর পাট চাষে আগ্রহ কমেছে অনেক কৃষকের।

Manual4 Ad Code

শ্রমিক সংকট, জাগ দেওয়ার পর্যাপ্ত জলাশয় না থাকা, দরপতনসহ নানা কারণে আগ্রহ কমেছে এই ফসল চাষে। ফলে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে পাট চাষ। তবে কৃষি অফিস বলছে, পাটের সোনালী দিন ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

এ দিকে কৃষকেরা জানান, পাট চাষে ভোগান্তি বেশি, লাভ কম। উৎপাদিত পাট সংরক্ষণের উপযুক্ত জায়গা নেই, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত বা খরায় ফলনও কমে যায়। আবার সরাসরি কৃষকদের জন্য ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কার্যকর ব্যবস্থা নেই।

উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক আজাদ প্রামানিক বলেন, ‘গত বছর মাত্র ২ একর জমিতে পাট লাগিয়েছি। শ্রমিকের মজুরি ৬০০ টাকা। খরচের তুলনায় বিক্রি কম, লাভ তো দূরের কথা, লোকসান গুণতে হয়।

Manual3 Ad Code

এ ব্যাপারে উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ বলেন, পাট চাষ করে কোনো লাভ নেই। পরিশ্রমই বৃথা। তাঁর এক বিঘা জমিতে পাট হয়েছে পাঁচ মণ। খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকার মতো। বিক্রি করে পেয়েছেন ১৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে তারা পরিবারের তিনজন যে শ্রম দিয়েছেন তার হিসাব নেই। পাট চাষের জন্য যেভাবে তারা পরিশ্রম করেন তার দাম ওঠে না।

উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেলেও পাটের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। উপজেলার বিশা ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি আগে প্রতি বছর দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করতেন। কিন্তু এখন মাত্র ১০ কাঠা করছেন। তিনি বলেন, ‘গত বছর প্রতি মণ পাট বিক্রি করেছি ২৮০০ থেকে ৩০০০ টাকায়। কিন্তু সার, শ্রমিক, সেচ, পাট কাটার খরচের পর হাতে তেমন কিছু থাকেনি। এই কারণে এখন অনেক কৃষক লাভজনক অন্য ফসল চাষে ঝুঁকছেন।

Manual6 Ad Code

স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, শুধু প্রণোদনা নয়, দর নিয়ন্ত্রণ, বাজার ব্যবস্থাপনা, জলাশয় পুনঃখনন ও আধুনিক জাগ পদ্ধতি চালুর মতো বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ জরুরি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, এ বছর উপজেলায় ১৩৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, পাট চাষে আগ্রহ বাড়াতে ৩০ জন কৃষককে প্রণোদনার আওতায় বীজ ও রাসায়নিক সার দেওয়া হয়েছে। #

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!