কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শিক্ষিক ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রোজিনা বেগমকে খুনের দুইমাস অতিবাহিত হয়েছে। তবে এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি প্রধান আসামী রেজাউল আহমদ সাগরকে। উপরন্ত পালিয়ে থেকে ভিডিও বার্তায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে। প্রধান আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় নিহতের পরিবার, এলাকাবাসী ও শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তবে পুলিশ বলছে প্রধান আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ভাসানীগাঁও গ্রামের স্কুল শিক্ষিক ও সিলেট আইন মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রোজিনা বেগম খুনের ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই। মামলার প্রধান আসামী একই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে রেজাউল আহমদ সাগর। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর সহায়তায় পুলিশ পাঁচ আসামীকে গ্রেফতার করে। তবে ঘটনার দুইমাস পেরিয়ে গেলেও প্রধান আসামী সাগরকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নিহতের পরিবার সদস্য, এলাকাবাসী ও শিক্ষকরা।

মামলার বাদী নিহতের বড় ভাই শাহজাহান আহমদ বলেন, ঘটনার দিন পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। দু’দিন পর গ্রামবাসীর সহায়তায় আরো এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। কিছুদিন আগে ময়মনসিংহ থেকে আরো এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার দুইমাস সময় পেরিয়ে গেলেও বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগেও প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ সাগর ভিডিও বার্তায় তার বক্তব্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হত্যা ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে মিথ্যাচার চালাচ্ছে। তার হুমকি ধামকির বিষয়ে হত্যা ঘটনার পূর্বেও থানায় জিডি রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নাজমিন আক্তার, ফজিরুন বেগম, তাসলিমা আক্তার ও শক্ষিক মোসাহদি আহমদ বলেন, একমাসওে মূল আসামিকে গ্রেফতার করতে না হওয়ায় আমরা হতাশ। ইতিপূর্বে আমরা মানববন্ধন করেছি। পুলিশ আমাদের আশ্বস্থ করেছিল দ্রুত আসামী গ্রেফতার করা হবে। তবে আজ পর্যন্ত মূল আসামীকে গ্রেফতার করা হয়নি, এটি খুবই দু:খজনক।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির বলেন, এই মামলার প্রধান আসামীা রেজাউল আহমদ সাগরকে গ্রেফতারে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
উল্লেখ্য, আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত ২৬ মে সকাল ১০টায় ভাসানীগাঁও গ্রামে ভেকু মেশিন দিয়ে কৃষিজমির মাটি কাটাচ্ছিলেন আব্দুর রহিম ও তার ছেলে রেজাউল করিম সাগর। খবর পেয়ে নিহত রোজিনার বোনজামাই জালাল মিয়া প্রতিপক্ষকে আপত্তিকৃত জমিতে মাটি কাটায় বাঁধা দিলে দা দিয়ে কূপিয়ে জালাল আহমেদকে গুরুতর জখম করে। জালাল আহমদকে রক্ষায় হারুন মিয়া, তার স্ত্রী নুরুন নাহার লুবনা ও ছোট বোন শিক্ষিকা রোজিনা বেগম দৌঁড়ে সেখানে গেলে সাগর ও অন্যরা দা ও বল্লম দিয়ে সবাইকে এলোপাতাড়ি কূপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোজিনা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রোজিনার ১০ বছর বয়সী একমাত্র শিশু সন্তান রয়েছে। #
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply