একটা মস্ত বেহায়া রাত!
দু– ভাগে বিভক্ত হয়ে আসে বড় শহরের পাচিল টপকে –
অর্ধেকটা আমার মফস্বলে।
জোছনার থালায় ফকফকা আসমান।
শব্দের ব্যঞ্জনে জোছনা ছিটকে পড়ে
আমি ভিজি
মন ভিজে
শরীর ভিজে
অতঃপর, শরীর থেকে অশরীরে নামি।
রহস্য গাঁথি নিশি সত্যের অপর পৃষ্ঠায়
অব্যক্ত বাক্য সাজিয়ে, কথার মাধুর্যে।
শব্দের ফাঁকে ফাপা বুলি, পুষ্পহীন গুচ্ছিত ভান, মোহের ইন্দ্রজালে অস্পষ্ট মানব, অগোছালো বাতাস।
তুমি কপাট খোল, হয় নিশির যবনিকাপাত।
খালি পায়ের তলায় শিশিরের জলে ভিজে ঘাসের আত্মহত্যা।
ইশারায় তীর ছুড়ো দূরের মফস্বলে,
তীরের তীক্ষ্ণ ফলকে কামনার বার্তা!
ফিরতি বার্তায় ঠোঁটের শব্দে হৃদয় ভাঙে, নিঃশ্বাসের কুয়াশায় দৃশ্যত হারায়,
শুকনো বৃষ্টি নামে জোছনার বন্যায়।
দুটি শহরের দু– প্রান্তের দুরত্ব অদৃশ্য!
একজোড়া মন ভিজে একাকার,
কিছুটা আহ্লাদিত শুন্যস্থানে স্বপ্ন ঢেলে,
হয়তো…….।
Leave a Reply