এইবেলা, শ্রীমঙ্গল ::
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়নের সুরভী আবাসিক স্বামীর হাতে স্ত্রী শাহীমা আক্তার (১৯) খুন হয়েছেন। ০১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটে। স্ত্রী খুনের অভিযোগে স্বামী মাসুম মিয়া (২৪) কে আটক করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। অভিযুক্ত মাসুম মিয়া হবিগঞ্জ সদর থানার সুলতানশী গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে।
জান যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ৩ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মৃত শাহীমা আক্তার (১৯) সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার মৃত আজিজুর রহমানের মেয়ে। এই দম্পতি ১০ দিন যাবত শহরের সুরভী আবাসিক এলাকার লন্ডন প্রবাসী কাওসার আহমেদের বাসায় ভাড়া থাকতেন।
নিহতের বড় বোন হালিমা আক্তার জানায়, হবিগঞ্জ জেলার সদর থানার সুলতানসি গ্রামের আঃ কাইয়ূম এর ছেলে মাসুম মিয়া (২৪) এর সাথে চার বছর পূর্বে সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার শাল্লা গ্রামের মৃত আজিজুর রহমানের ছোট মেয়ে শাহীমা আক্তারের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর হতেই মাসুমের সাথে শাহীমার ঝগড়া হতো। শাহীমা আক্তার তার বড় বোন হালিমা আক্তারের সাথে হবিগঞ্জে বসবাস করতেন।
হবিগঞ্জ থাকাকালীন সময়ে মাসুমের সাথে শাহীমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে শাহীমাকে বিয়ে করে ৪ বছর আগে। গত শনিবার ২৭ মার্চ মাসুম শাহীমাকে নিয়ে শ্রীমঙ্গল শহরতলীর সুরভীপাড়ায় বড় বোন হালিমার বাসায় বেড়াতে আসে। গত ৩১ মার্চ মাসুম কসাইর কাজে মিরপুরে যায়। পরদিন ভোরে মাসুম পুনরায় হালিমার বাসায় আসে।
শুক্রবার রাতে শাহীমার সাথে মাসুমের কথা কাটাকাটি হয়। মাসুম রাতেই শাহীমাকে নিয়ে তার বাড়িতে চলে যেতে চাইলে শাহীমা ও তার বড় বোন হালিমা বলে রাতে না গিয়ে পরদিন ভোরে যাওয়ার জন্য। কিন্তু স্বামী মাসুম ১ এপ্রিল রাত ৩ ঘটিকার সময় শাহীমাকে কসাইর কাজে ব্যবহৃত ছুরি দিয়ে শাহীমার বুকে ও হাতে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই শাহীমার মৃত্যু হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন বলেন, রাতেই খবর পেয়ে এএসআই সারোয়ার ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার হাসপাতালে নিয়ে সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এ সময় অভিযুক্ত আসামী মাসুম মিয়া পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় নিহতের বোন হালিমা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন ।#
Leave a Reply