১০ হাজার মানুষের ভরসা নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো : ঝুঁকি নিয়ে চলাচল ১০ হাজার মানুষের ভরসা নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো : ঝুঁকি নিয়ে চলাচল – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়ায় একাধিক মামলার পলাতক আসামী শাওন পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে বড়লেখায় শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ ২০৭ পরিবারে প্রবাসি সংগঠনের ঢেউটিন বিতরণ কমলগঞ্জের মিরতিংগা চা বাগানে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ কমলগঞ্জে কালবৈশাখী তাণ্ডবে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত; খোলা আকাশের নিচে অনেক পরিবার কুলাউড়ায় চা বাগান কেন্দ্রিক প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা কমলগঞ্জে মায়ের উপর অভিমান করে গলায় শাড়ি দিয়ে শিশুর আত্মহত্যা কমলগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃত্যু বড়লেখায় জাতীয় সামাজিক সংগঠন নিসচা’র মানববন্ধন আত্রাইয়ে উপজেলা পরিদর্শণ করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার কুলাউড়ায় প্রান্তিক এলাকায় নারীদের উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক সেমিনার-

১০ হাজার মানুষের ভরসা নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো : ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

  • রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১

আব্দুর রব, বড়লেখা (মৌলভীবাজার) থেকে :

জুড়ীতে একটি ব্রীজের অভাবে জায়ফরনগর ও পশ্চিমজুড়ী ইউপির প্রায় ১০ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোতে পারাপার করছেন। নয়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন জুড়ী নদীর উপর ওই বাঁশের সাঁকোটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। প্রতিবছর এলাকাবাসী চাঁদা তুলে সাঁকোটি মেরামত করে কোনমতে চলাচল করেন। সাঁকোটি দিয়ে উপজেলার ২টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ যুগের পর যুগ ভূগান্তি পোয়ালেও এ যেন দেখার কেউ নেই। প্রতিটি নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের নিকট থেকে ভুক্তভোগীরা ব্রীজ নির্মাণ করে দেওয়ার আশ্বাসই পায়, কিন্তু বাস্তবে আজও তা স্বপ্নই রয়ে গেছে।

শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোটি মেরামত করছেন কয়েকজন শ্রমিক। জানতে চাইলে তারা জানান, এলাকাবাসী চাঁদা তুলে এই সাঁকোটি তৈরী করেছেন। প্রতিবছরই নতুন বাঁশ দিয়ে মেরামত করতে হয়। আমরা কয়েকজন শ্রমিক ৪/৫ দিন ধরে সাঁকোটির মেরামত কাজ করে যাচ্ছি। স্থানীয় বাসিন্দা সৌদীআরব প্রবাসী জহিরুল ইসলাম ও নয়াগ্রাম দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মনিরুল ইসলাম জানান, স্বাধীনতা পরবর্তী বহু সরকার আসলেও জুড়ী নদীর উপর ওই সাঁকোর স্থানে অদ্যাবধি একটি ব্রীজ নির্মাণে কেউ উদ্যোগ নেননি। আমাদের এলাকার বাসিন্দারা তাদের ছেলে-মেয়েদের স্কুল-মাদ্রাসায় আসা-যাওয়াসহ তাদের যাতায়াত করতে গিয়ে বাধ্য হয়ে প্রতিনিয়ত এ সাঁকো দিয়ে শত শত মানুষ পারাপারের কারণে এটি বর্তমানে নাজুক হয়ে পড়েছে। যেকোন সময় ভেঙ্গে দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থী, কৃষক, শ্রমিক, বিভিন্ন পেশাজীবি লোকজনকে এ সাঁকোর ওপর দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে। বর্তমানে এলাকাবাসী চাঁদা তুলে এই সাঁকোটি মেরামত করাচ্ছেন। জায়গায় একটি ব্রীজ নির্মাণ করলে জুড়ী নদীর এপার-ওপারের কয়েক হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হতো। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, প্রতিটি জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের আগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা এখানে ব্রীজ নির্মাণের আশ্বাস দেন। কিন্তু অদ্যাবধি তা আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে আজও স্বপ্নই রয়ে গেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জমির আলী জানান, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত এভাবেই বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছেন লোকজন। এ সাঁকো দিয়ে অত্রাঞ্চলের স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে পড়ালেখায় যায়। ফলে, সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে অভিভাবকরা থাকেন উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে হাকালুকি হাওরের শত শত কৃষকের যাতায়াতের রাস্তা এটি। এলাকাবাসী সাঁকোর স্থানে একটি ব্রীজ নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপির নিকট জোর দাবী জানাচ্ছেন।

সাবেক ইউপি মেম্বার হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, জায়ফরনগর ইউপির নয়াগ্রাম সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের পাশে জুড়ী নদীর উপর নড়বড়ে ওই বাঁশের সাঁকো দিয়ে দুই ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেনীর লোকজন পার হন। হাকালুকি হাওরের ৫/৬ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৃষকরা এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করেন। উক্ত রাস্তায় বিকল্প পথ না থাকায় এ সাঁকোই তাদের একমাত্র ভরসা। যে কোন সময় সাঁকোটি ভেঙ্গে বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। এখানে অবিলম্বে একটি ব্রীজ নির্মাণের উদ্যোগ নিতে তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews