নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি ::
নওগাঁর আত্রাইয়ে বন্যায় ভেঙে যাওয়া পাকা রাস্তা সংস্কার না করায় এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। গত ২০২০ সালের ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ পাকা সড়ক ভেঙে যায়। বন্যার পানি নেমে যাবার পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও ভেঙে যাওয়া পাকা রাস্তা মেরামতের কোন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি। ফলে চলাচলের ক্ষেত্রে এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা যায়, ২০২০ সালের ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার মধুগুড়নই হয়ে পাঁচুপুর চারমাথা পর্যন্ত পাকা রাস্তার পাঁচুপুর পালপাড়া নামক স্থানে ভেঙে যায়। ওই রাস্তা ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। সে সময় থেকেই মালিপুকুর, পাঁচুপুর, মধুগুড়নইসহ বেশ কয়েক গ্রামের লোকজনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। উপজেলার একটি উল্লেখ যোগ্য স্থান পাঁচুপুর বাজার। এখানে একটি প্রাত্যহিক বাজার, একটি সরকারী স্বাস্থ্যকেন্দ্র, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। বিশেষ করে সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের পুঁজার জন্য রয়েছে বৃহত একটি কালিবাড়ি। এ ছাড়াও সেখানে রাইচ মিল, স’মিল, ব্রেড ফ্যাক্টরীসহ ছোট ও মাঝারি বেশ কয়েকটি কারখানাও রয়েছে। যে কারনে এলাকার শত শত লোকজন প্রতিনিয়ত পাঁচুপুরে যাতায়াত করে থাকেন। বন্যায় ভেঙে যাওয়া রাস্তা দীর্ঘদিন থেকে মেরামত না করায় তাদেরকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
মালিপুকুর গ্রামের গৃহবধূ সাফিয়া খাতুন বলেন, এ ভাঙন মেরামত না হওয়ায় রাস্তা দিয়ে ভ্যান রিক্সা চলাচল করছে না। আমি পাঁচুপুরে আটা ভাঙাতে গিয়ে ছিলাম। ভাঙনের কারনে রিক্সা ভ্যান না পেয়ে মাথায় করে আটা বহন করতে হচ্ছে। মেয়ে লোক হিসেবে এটা আমার জন্য খুবই কষ্টকর। শিকারপুর গ্রামের রুনা খাতুন বললেন, পাঁচুপুরে একজন চিকিৎসক রয়েছেন এলাকার খুব জনপ্রিয়। হাফিজুল ডাক্তার নামে সকলের নিকচ পরিচিত, তার চিকিৎসার খ্যাতি রয়েছে এলাকা জুড়ে। এ ভাঙন মেরামত না হওয়ায় খুব কষ্ট করে আমাদের তার নিকট চিকিৎসা নিতে আসতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আত্রাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পাঁচুপুর গ্রামের অধিবাসী আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ২০১৭ সালের বন্যায় এ রাস্তাটির এখানেই ভেঙে ছিল। পরবর্তীতে বালু ভরাট দিয়ে তা সংস্কার করা হয়েছিল। ২০২০ সালেও একই জায়গায় ভেঙে যায়। বন্যার পানি শুকিয়ে যাবার দীর্ঘদিন পরও রাস্তাটি মেরামতের কোন উদ্যোগ না নেয়ায় আমরা খুব দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আফছার আলী প্রাং বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য একাধিকবার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলে এটি সংস্কার করা হবে। #
Leave a Reply