তৌহিদুর রহমানের কবিতা ‘ড্রাইভার’ তৌহিদুর রহমানের কবিতা ‘ড্রাইভার’ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আত্রাইয়ে ব্রিজের নির্মাণ কাজে ধীরগতি : দুর্ভোগে এলাকাবাসী শ্রীমঙ্গলে এসএমই ফাউন্ডেশনের ঋণ ম্যাচমেকিং কর্মসূচি ও ব্যাংকার-উদ্যোক্তা মত বিনিময় সভা ৪শ’ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক নিদর্শণ আত্রাইয়ের তিন গুম্বুজ মসজিদ-মঠ সিলেট তালতলা ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের আহবায়ক কমিটি গঠন জেলা প্রশাসকের সাথে কুলাউড়ায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মতবিনিময় কুলাউড়ার সদপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ বড়লেখায় বিজিবির হাতে রুপিসহ ভারতীয় নাগরিক আটক কুড়িগ্রামে ঘর-বাড়ি ফসলি জমি রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধের চেষ্টা গ্রামবাসীর    সিলেটে বিএনপির বিশাল শোডাউন সিলেট নগরীতে ব্যাটারি ও সিএনজি চালিত রিকশা চলাচলে নতুন নির্দেশনা

তৌহিদুর রহমানের কবিতা ‘ড্রাইভার’

  • মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২১

ড্রাইভার
তৌহিদুর রহমান

ড্রাইভার নাকি ছোট জাত?
সর্ব লোকে কয়;
তাদের নাকি আচার আচরণ
মোটেই ভালো নয়।

কথায় তারা রুক্ষ অতি,
চোখ দুটো তার লাল;
সবাই বলে তারা নাকি
মদ খেয়ে হয় টাল।

অনেকেতো বলেই ফেলে
বজ্জাত সব তারা;
মেয়ে দেখলেই তারা নাকি
হয়ে যায় টেরা।

দুনিয়ার যত মন্দ কথা,
আসে তাদের মুখে;
টাকা পেলেই তাদের মুখে
হাসি নাকি ফুটে।

মানছি আমি সব কথাই,
তবুও কথা থাকে;
সবার মাঝেই ভালো মন্দ
মিলে মিশে থাকে।

তোমরা সবাই মন্দ টুকুই
দেখলে বড় করে;
বিবেকটাকে নেড়ে দেখ
তারা বাঁচে কেমন করে?

কত শত চাপে থাকে,
কষ্ট সীমাহীন;
এদিক সেদিক হলেই একটু
জীবন হয় বিলীন।

রাস্তায় যখন থাকে তারা
আমাদেরকে নিয়ে;
সবার চাপ একাই সে
বহন করে নিজে।

কেউ বলছে ড্রাইভার ভাই
চালাও আরো জোরে;
আমার আবার তাড়াতাড়ি
অফিস ধরতে হবে।

কেউ বলে ভয় লাগে ভাই,
গতি কমাও দ্রুত;
সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি
এইটা আগে বুঝো।

রাস্তায় যখন যানজট হয়,
দাঁড়িয়ে থাকে ঠাঁয়;
একচুল‌ও নড়িবার তার
ক্ষমতা যে নাই।

তুমি আমি সাইকেল বা মোটরসাইকেলে
ফাঁকে ফাঁকে ঢুকি;
কখনো আবার ফুটপাতে
সোজা গিয়ে উঠি।

আর যদি পায়ে চলো
তাহলে তো রাজা;
সাপের মতো এঁকে বেঁকে
সামনে চলো সোজা।

ভেবেছ কি ড্রাইভার যে
বসে আছে ঠাঁয়;
মনের ভিতর তার কতো
ঝড় বয়ে যায়।

মালিককে দিবে জমা,
রাস্তায় আছে কতো চাঁদা;
সব মিটিয়ে তার আয়
হয়ে যায় আধা।

থাকতে হয় খুব সর্তক,
আশেপাশে যত গাড়ি;
একটু দাগ পরলেই
মালিক দিবে জারি।

কখনো কখনো এমনও হয়
দিতে হয় টাকা ;
তা নাহলে চাকুরী তার
যাবে যে কাটা।

ঘরে তার অনেক মুখ
বসে আছে আশায়;
বাজার সদাই হলে কিছু
রান্না যদি চড়ায়।

তার ব‌উটা মা হবে,
টাকা কিছু চাই;
বাচ্চা দুইটা প্রাইভেটে
সেখানেও তাই।

মা-বাবা তার সাথেই খায়,
বয়স হয়েছে;
তাদের‌ও যে মাঝে মধ্যে
চিকিৎসা লাগে।

কিন্তু এখন গাড়ির সংখ্যা
অনেক বেড়েছে;
আগের থেকে আয় অনেক
কমে এসেছে।

ভাবো একবার কতো চাপে
রাস্তায় থাকে সে;
তোমার আমার জীবন নিয়ে
থাকে টেনশনে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews