এইবেলা, কমলগঞ্জ ::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় ৩ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ব্যক্তি ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এ ঘটনায় ৯ জনকে আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হলেও জামিনে বেরিয়ে পুণ:রায় হামলার আশঙ্কায় আতঙ্কিত পরিবার সদস্যরা। গত ২ জুন রাত ৮টায় বাজার থেকে যাওয়ার পথে চৈত্রঘাট প্রতাপী জামে মসজিদ সংলগ্ন রাস্তায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতাপী এলাকার শামসুল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম, রাসেল মিয়া, রাজেল মিয়া, শফিক মিয়া বাজার থেকে যাওয়ার পথে রাস্তায় দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। সন্ত্রাসী হামলায় আহত হন একই গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল মোমিন জুয়েল (৪০), রাসেল আহমদ (২৮) ও মাসুক মিয়া (৪০)। গুরুতর আহত আব্দুল মোমিন জুয়েলকে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জুয়েল সেখানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
আহত রাসেল আহমদ, মাসুক মিয়া ও আব্দুল মোমিন জুয়েল মোবাইল ফোনে বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ। তাদের সাথে পূর্ব হতে বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলছে। মামলা আপোষের জন্য সন্ত্রাসীরা চাপ প্রয়োগ করে। তাতে রাজি না হওয়ায় সন্ত্রাসীরা পূর্ব থেকে রামদা, দা, জুলফি, কাঠের রোল লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রাস্তায় অবস্থান করে। রাস্তার ওই স্থানে আসা মাত্র সন্ত্রাসীরা উপর্যুপরি হামলা চালিয়ে আমাদেরকে গুরুতর আহত করে। এসময়ে সন্ত্রাসীরা দোকানের মালামাল বিক্রি করে নিয়ে আসা ২ লক্ষ ৩ হাজার টাকা লুট করে নেয়। আব্দুল মোমিন জুয়েলের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
হাবিবুর রহমান, ফজলু মিয়া, বিলাল মিয়া, পলাশ মিয়া, মদরিছ মিয়া, জালাল মিয়াসহ স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী, মোটরসাইকেল ছিনতাইসহ নানা অপরাধে মৌলভীবাজার আদালত ও কমলগঞ্জ থানায় মামলা চলমান রয়েছে। তবে হামলাকারীরা জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও হামলা চালাতে পারে বলে নির্যাতিত পরিবার সদস্যরা আতঙ্কিত রয়েছেন।
রহিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমদ বদরুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হামলাকারীরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। যথাযথ আইনী ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি দাবি করেন।
অভিযোগ বিষয়ে হামলাকারীদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। #
Leave a Reply