হাকালুকি হাওরে চলছে পরিবেশ বিনষ্টের মহোৎসব – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আত্রাইয়ে ইটভাটা বন্ধের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ছাতকে ৯ মাস ধরে নেই প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা: সেবাগ্রহীতাদের চরম ভোগান্তি কাল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা  কমলগঞ্জে ট্রেন দুর্ঘটনার চেষ্টা ব্যর্থ! মাধবপুরে নতুন জাতের ধান চাষ,  উচ্চ ফলনে কৃষকের মুখে হাসি কুড়িগ্রাম-০১ : রাজনীতিতে নতুন বার্তা দিচ্ছেন এনসিপি নেতা মাহফুজুল ইসলাম কিরন মৌলভীবাজারের স্বাগত মিষ্টি ঘরসহ ২ প্রতিষ্ঠানকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা বড়লেখার দক্ষিণভাগ (দ.) ইউনিয়ন পরিষদ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে জেলা শ্রেষ্ট বিয়ানীবাজারে ভারতীয় অবৈধ পেঁয়াজসহ অটোরিকশা জব্দ বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা জাতির পুনর্জাগরণের পথনির্দেশক -নাসির উদ্দিন

হাকালুকি হাওরে চলছে পরিবেশ বিনষ্টের মহোৎসব

  • সোমবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২২

Manual8 Ad Code

প্রশাসন রহস্যময় কারণে নির্বিকার- হুমকির মুখে পরিবেশ

Manual4 Ad Code

আজিজুল ইসলাম ::

Manual8 Ad Code

এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকিতে চলছে পরিবেশ বিনষ্টের ধ্বংসযজ্ঞ। স্থানীয় প্রশাসন রহস্যময় কারণে নীরব। সেই সুযোগে বিলসেচে মাছ আহরণ, অভয়াশ্রম বাতিল করে বিল ইজারা প্রধান, হিজল করচের জলাবন ধ্বংস, প্রভাবশালী চক্র কর্তৃক মাছ লুট, উচ্চ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রশাসন খাস কালেকশনে প্রভাবশালী মাছ লুটেরা চক্রকে সুযোগ প্রদান। ফলে হাকালুকি হাওরে মাছের উৎপাদন কমে যাওয়া অর্ধেক মূল্যে বিল ইজারা নিতে আগ্রহী হচ্ছে না কোনো মৎস্যজীবি সমবায় সমিতিগুলো। ফলে হুমকির মুখে হাওরের পরিবেশ।

Manual4 Ad Code

সরকার ১৯৯৮ সালে হাকালুকি হাওরকে ইকোলজিক্যালি ক্রিটিক্যাল এরিয়া (ইসিএ) ঘোষণা করে। এরপর হাওরের ইকোলজিকেল ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে বিশ^ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে হাওরের উন্নয়নে কাজ শুরু করে। ২০০০ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত হাওরে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালিত হওয়ার ফলে হাকালুকি হাওরে মাছের উৎপাদন বেড়েছে। সেই সাথে অতিথি পাখির বিপুল সমাগম ঘটায় পরিবেশের ভারসাম্য ফিরে আসতে শুরু করে। ২০১০ সালে সরকার মাছের উৎপাদন বাড়াতে ১৮টি বিলকে মাছের অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা সেই অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে কাজ করে। এতে মাছের উৎপাদন দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়ায় লোলুপ দৃষ্টি পড়ে হাওর খেকোদের। ২০১৮ সালে হাওর খেকোরা মৎস্য অভয়াশ্রম বাতিল করতে শুরু করে নানামূখি তৎপরতা। ২০১৮ সালে ৬টি বিল অভয়াশ্রম বাতিল করে রাজস্বখাতে ফিরিয়ে নেয়া হয়। রাজস্বখাতে ফিরিয়ে নিতে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন বর্তমান পরিবেশ মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি ছিলেন তখন সরকার দলীয় হুইপ ও জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির উপদেষ্টান্ডলীর ১ নম্বর সদস্য, সৈয়দা সায়রা মহসিন এমপি ২ নম্বর সদস্য ও তৎকালীন সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম। জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির ৫০ তম সভায় বিশেষ করে মৎস্য অভয়াশ্রম বাইয়া বিল এবং উত্তর গজুয়া ও দক্ষিণ গজুয়া (বদ্ধ) বিলকে রাজস্ব খাতে ফিরিয়ে নেয়া হয়।

সরেজমিনে হাকালুকি হাওরে গেলে দেখা যায়, বাইয়া বিলে মেশিন বসিয়ে বিল শুকিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। গত এ সপ্তাহ থেকে পূর্বেকার একটি অভয়াশ্রমকে এভাবে শুকিয়ে মাছের বংশ ধ্বংস করে মাছ শিকার করা হচ্ছে। বিলটি লিজ গ্রহিতা হলেন মন্ত্রীর কথিত মামা ও কাছের লোক হাছান আলী বেবুল। তিনি বিলটি বিক্রি করেছেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নের পূর্ব বাদে দেউলি গ্রামের (করিয়াটিলা) গ্রামের আছমান মিয়ার কাছে। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনসহ বড়লেখার উপজেলা প্রশাসন অবগত হলেও কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।

বাইয়া বিলের ইজারাদার হাছান আলী বেবুল জানান, বাইয়া বিলে মেশিন দিয়ে শুকিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে না। তিনি গত এক সপ্তাহ থেকে অসুস্থ। বিষয়টি তার জানা নেই। পাশর্^বর্তী মেদা আরামডিঙা বিলে মেশিন দিয়ে শুকিয়ে মাছ শিকার হতে পারে। তিনি খোঁজ নিয়ে জানাবেন।

Manual3 Ad Code

এদিকে হাওরপারের মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ জানান, বিলের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ইজারার আগেই বিলের মাছ লুটে নেওয়া, অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ না করা ও মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাকালুকি হাওরের জলাশয়গুলোতে মাছের দুষ্প্রাপ্যতা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন বিলের সরকার নির্ধারিত ইজারা মূল্যের অর্ধেক দামেরও মাছ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই নিশ্চিত লোকসান জেনে অনেকেই বিলের ইজারা নিতে কেউ আগ্রহী নয়।

জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, হাকালুকি হাওরের বিশ একরের অধিক আয়তনের জলমহালের সরকারি রাজস্ব আদায় করা যায়নি এমন পাঁচটি বিলের ১৪২৮ বঙ্গাব্দের ৩১ চৈত্র পর্যন্ত খাস আদায়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। বিলগুলো হলো- হাওয়া বর্ণি সিংজুরী, ফুটবিল গ্রুপ (বদ্ধ) ফিসারী’র, দুধাই বিল বদ্ধ, নিরাই বিল ও খাল ও কালাপানি (বদ্ধ)।

হাকালুকির অন্যতম জলমহাল মালাম বিলের ইজারার বিনিয়োগকারীরা বিল সম্প্রসারণ করতে চলিত বছরের ২০২১ সালের মে মাসে অবৈধভাবে বিলের দক্ষিণ-পূর্ব পাশের প্রায় ১২ বিঘা খাসজমিতে ১৫-১৬ বছর আগে পরিবেশ অধিদপ্তরের সৃজিত এবং প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো বিভিন্ন প্রজাতির ২০ হাজার জলজবৃক্ষ কর্তন করে। জলজ গাছ অবৈধভাবে কাটার ঘটনায় ২১ জুন রাতে ঘটনাস্থল পরিদের্শণ করেন পরিবেশ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক নজরুল ইসলাম। মালাম বিলের ইজারাদারসহ ৭ ব্যক্তির নামোল্লেখ করে আরও ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন এবং প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ব্যবস্থাপনা বিধিমালায় বড়লেখা থানায় মামলা করে দায়িত্ব শেষ করেন।

স্থানীয় লোকজন জানান, বড়লেখা উপজেলা প্রশাসন হাকালুকি হাওরে জলা বন ধ্বংস কিংবা বিলে ইজারা নীতিমালা লঙ্ঘনে কোন ধরনের ভুমিকা পালন করে না। কোন অদৃশ্য শক্তির ইশারায় নয়তো এসব কর্মকান্ড থেকে সুবিধা পেয়ে রহস্যময় কারণে নীরবতা পালন করে।

এব্যাপারে জেলা জলমহাল কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, আমাদের কাছে কোন অভিযোগ কেউ করেনি। আমাদের কাছে অভিযোগ করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।#

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code