সম্রাট তারেক:: “মানুষ ও কবিতা অবিচ্ছেদ্য। মানুষ থাকলে বুঝতে হবে কবিতা আছে :কবিতা থাকলে বুঝতে হবে মানুষ আছে। ”
হুমায়ূন আজাদের কবিতার সংজ্ঞার সাথে আমার চিন্তার ভিন্নতা নেই।
মানুষ ও কবিতা অবিচ্ছেদ্য। তেমনি অবিচ্ছেদ্য ফাহমিদা ইয়াসমিন। একজন কবি, একজন মানবিক মানুষ।
‘নীলিমার নীল’ কবি ফাহমিদা ইয়াসমিনের মৌলিক কাব্যগ্রন্থ। তাঁর কবিতার প্রেম, প্রতিবাদ, শৈশব, মা, মাটির ঘ্রাণের মধ্যে একজন প্রকৃত কবির উঁকিঝুঁকি।
“প্রেমের আকুতি নিয়ে তুমি দাঁড়ালে আমার চোখে
আমি কেঁপে উঠি ভালোবাসার বিন্দু বিন্দু ঘামে
কবির কবিতায় প্রেমের প্রচ্ছদে মানবিক দর্শন খুঁজে পাওয়া যায়।
যত দূরে থাকি বারবার কাছে টানে মাটির ঘ্রাণ
কোলাহলে না মিশলে বোঝা যায় না নীরবতার প্রশান্তি”
কবি অন্য কবিতায় লিখেছেন,
“আমি আসবো, আসবো কবি কোন এক বসন্তে
আমার কবির শহরে কবিতার ছন্দ হয়ে”
সব কবির মতো কবি ফাহমিদা ইয়াসমিনের নীরবতা পছন্দ। তবে কোলাহলে হারাতে চান না, তা নয়। ঔপন্যাসিক জেন অস্টিনের একটা কথা আছে –
One half of the world can not understand the pleasures of the other.
একজন কবি ফাহমিদা ইয়াসমিনের সবচেয়ে বড় সার্থকতার জায়গা এখানে। তিনি অপরের সুখ বুঝতে পারেন,সাথে দুঃখ। নিজের তৃপ্তির জায়গা না ভুলে।
“ঘোর অমাবস্যায় তোমার চোখের আলোয় খুঁজে নেবো পথ”
কবির প্রত্যাশা পূর্ণ হোক। কবিতা হোক স্নিগ্ধতার পথ।সেই পথে হেঁটে কবি খোঁজে পাবেন ইতিহাস, প্রেম, মা, মাটি, মানুষ ।
কবির মলাটবদ্ধ বইটির সব ক’টি কবিতা যেমন সুন্দর ও সাবলীল তেমনি ভাবে তার কবিতার শব্দচয়ন অত্যন্ত সহজ। একজন প্রকৃত লেখক হিসেবে যে গুলো গুণের প্রয়োজন ও প্রয়োগ করা দরকার তার সবই কবিতার প্রতিটি বাক্যে স্পষ্ট। কবির আগামী দিন সুন্দর ও স্বচ্ছ হয়, পাঠক হিসেবে সেই কামনা রইলো।
লেখক- কবি ও ইঞ্জিনিয়ার
এইবেলা/এসটি/জেএইচজে
Leave a Reply