কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে অনির্দিষ্টকালের ডাকা কর্মবিরতি সোমবার বিকেলে প্রত্যাহার করা হয়েছে। দলিল লেখক ও সাব রেজিস্ট্রারের দ্বন্দ্বের জেরে গত ৮ দিন বন্ধ ছিল কমলগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল সম্পাদন কার্যক্রম। সাব রেজিস্টার রহমত উল্লা লতিফের বিরুদ্ধে দলিল প্রতি ঘুষ বানিজ্য, অসদাচরণ করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এনে গত ১১ এপ্রিল থেকে কর্মবিরতি পালন করেন দলিল লেখকরা। এতে সব ধরনের সেবা বন্ধ থাকে। ভোগান্তিতে পড়েন সেবাগ্রহীতারা। সাধারণ সেবাগ্রহীতার কথা বিবেচনা করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে উদ্যোগী হন কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জুয়েল আহমেদ।
১৮ এপ্রিল সোমবার দুপুরে পৌর মেয়র সাব রেজিস্ট্রার রহমত উল্লা লতিফ ও দলিল লেখকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে অংশ নেন জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল মছব্বির, উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি পৌর কাউন্সিলর মো. বখতিয়ার খাঁনসহ সমিতির নেতৃবৃন্দ। দুই পক্ষের সাথে দীর্ঘ আলোচনার পর দলিল লেখক ও সাব রেজিস্ট্রার দ্বন্দ্বের অবসান হয়। পরে কর্মবিরতি কর্মসুচি প্রত্যাহার করে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) থেকে কাজে ফিরার ঘোষনা দেন দলিল লেখকরা।
সাব-রেজিষ্টার অফিসে চলমান দলিল লিখকদের ৮ দিনের কর্মবিরতির ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন জমির ক্রেতা-বিক্রেতারা। সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়।
কমলগঞ্জ উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি পৌর কাউন্সিলর মো. বখতিয়ার খাঁন জানান, জনগণের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ এর মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষের সমঝোতা বৈঠকে বিষয়টি সমাধান হওয়ায় আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কমলগঞ্জ উপজেলা রেজিস্ট্রার সাব রেজিস্টার রহমত উল্লা লতিফ বলেন, দলিল লেখকদের সাথে সাথে ভূল বুঝাবুঝির বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে।#
Leave a Reply