বিশেষ প্রতিনিধি :
ভারতের আসাম রাজ্যের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে (জেলখানায়) দীর্ঘ সাজা ভোগের পর অবশেষে দেশে ফিরেছে শিশু ও নারীসহ ১০ বাংলাদেশি নাগরিক। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দরে বিএসএফ ও ভারত সীমান্ত পুলিশ এসব প্রত্যাবাসন কারীদের বিজিবি ও ইমিগ্রেশন পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেছে। এসব প্রত্যাবর্তনকারীরা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করে। পরে বিএসএফ ও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। একপর্যায়ে তাদের টাই হয় বিভিন্ন ডিটেনশন (কারাগারে) সেন্টারে।
প্রত্যাবাসনকারীদের হস্তান্তরকালে উপস্থিত ছিলেন শেওলা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের ইনচার্জ মো. মাসুদুজ্জামান, বিয়ানীবাজার থানার এসআই সাইফুল ইসলাম, ৫২ বিজিবি’র বড়গ্রাম কোম্পানী কমান্ডার, ভারত সীমান্ত পুলিশের আইপিএস অফিসার, সুতারকান্দি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের ইনচার্জ, বিএসএফের সুতারকান্দি কোম্পানী কমান্ডার প্রমুখ।
দেশে ফেরা বাংলাদেশিরা হচ্ছে- মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজংয়ের রতন ভর্মণ, সিলেটের কানাইঘাটের শাহিদ আহমদ, জকিগঞ্জের ছাবির আহমদ, দেলোয়ার হোসেন, কাজী সুমন আহমদ, চাঁদপুরের কচুয়ার মাসুদ ইসরাইল রহমতুল্লাহ, কক্সেসবাজারের একই পরিবারের অয়েস করিম, জান্নাত তাসবির, সাবিহা জান্নাত ও জহুরা বেগম ইয়াসমিন।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার সহকারী যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা ও সমাজকর্মী অমলেন্দু কুমার দাশ জানান, ভারতের জেলে আটকা পড়াদের দেশে ফিরিয়ে আনার মানবিক কার্যক্রমের সম্মুখযোদ্ধা আসামের গৌহাটিস্থ বাংলাদেশ দুতাবাসের সহকারী হাই কমিশনার ড. শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর। তার বলিষ্ট কুটনৈতিক প্রচেষ্টায় ভারতের জেলে অসহায়ভাবে পড়ে থাকা মানুষগুলো মৃত্যুর মূখ থেকে দেশে ফিরতে সক্ষম হচ্ছে। তিনিও (অমলেন্দু) দীর্ঘদিন ধরে উভয় দেশের বন্দী প্রত্যাবাসনে কাজ করছেন। স্বেচ্ছায় বিনা পারিশ্রমিকে অসহায় মানুষকে মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করছেন। ভারতের আসাম রাজ্যের ৫ টি ও মেঘালয় রাজ্যের ২টি জেল থেকে ইতিমধ্যে প্রায় ২৭৫ জন বাংলাদেশীকে মুক্ত করে একই স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
শেওলা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের ইনচার্জ মো. মাসুদুজ্জামান জানান, ইমিগ্রেশন, স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম সম্পন্নের পর প্রত্যাবাসনকারীদের বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন। আগে থেকে অপেক্ষমাণ স্বজনদের নিকট থানা পুলিশ দেশে ফেরা নাগরিকদের বুঝিয়ে দিয়েছে।
Leave a Reply