এইবেলা, কমলগঞ্জ ::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের বাদে সোনাপুর গ্রামের বশির মিয়ার মেয়ে পারুল বেগম (৩৫)। প্রথম স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় একমাত্র ছেলেকে স্বামীর কাছে রেখে স্বামীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য গমন করেন। মায়ের অসুস্থ্যতার কথা শুনে পারুল বেগম করোনা দুর্যোগ শুরুর আগেই দেশে ফিরেন। দেশে ফিরে ভাই বাছিত মিয়ার কাছে তার পাওনা টাকা চাইতে গেলে শুরু হয় বিরোধ। অভিমান করে রোববার (২ আগষ্ট) রাত ১২টায় বড় ভাই বাছিত মিয়ার বসত ঘরের দরজার সামনে বিষপানে আত্মহত্যা করেন বিদেশ ফেরৎ পারুল বেগম।
গ্রামবাসীরা জানান, প্রবাসে থাকাকালীন পারুল বেগম অর্জিত টাকা তার ভাই বাছিত মিয়ার কাছে পাঠাতেন। দেশে ফেরার পর ভাই বাছিত মিয়া ও তার বোনের সাথে বিরোধ দেখা দেয়। পারুল বেগম মাঝে মধ্যে নিকট আত্মীয়দের কাছে এসব ঘটনার বিচার প্রার্থীও হন। ঈদের সময় কেনা কাটার জন্য ভাইয়ের কাছে টাকা চেয়ে না পেয়ে অভিমানে ঈদের বিষপান করে পারুল বেগম। তাকে উদ্ধার করে রাতেই কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শাহ আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে পারুলের লাশ উদ্ধার করে। সোমবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
নিহত পারুলের বড় ভাই বাছিত মিয়া বলেন, সে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে ঠিক। তবে সে এমনিতেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। তার কোন টাকা পয়সা কেউ আত্মসাৎ করেনি।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, ময়না তদন্তের জন্য লাশটি মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশি তদন্তকালে গুরুত্বসহকারে সবকিছু খতিয়ে দেখা হবে।#
Leave a Reply