বড়লেখা প্রতিনিধি :
বড়লেখায় জাতীয় দলের তারকা পেসার ইবাদত হোসেন চৌধুরী ও তার পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কাঠালতলী দক্ষিণ গ্রামের গত ইউপি নির্বাচনের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী দুবাই প্রবাসী আব্দুল জলিল ফুলু ও স্থানীয় সংবাদকর্মী মো. রুয়েল কামালের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন ইবাদতের বাবা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। এই ঘটনার ন্যায় বিচার ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে শনিবার রাতে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কাঠালতলী প্রাচীন জামে মসজিদ পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ স¤পাদক মো. কামাল উদ্দিন, সদস্য তাজ উদ্দিন ও রহমান আলী, যুবলীগ নেতা নাজিম উদ্দিন, ইবাদতের চাচাতো ভাই দেলওয়ার হোসেন চৌধুরী ইমন, ছাত্রলীগ নেতা কাওসার মির্জা রনি, ইবাদতের ছোট ভাই শাহাজান চৌধুরী প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ক্রিকেটার ইবাদত হোসেন চৌধুরীর বাবা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রতিবেশী কাঠালতলী দক্ষিণ গ্রামের বাসিন্দা দুবাই প্রবাসী আব্দুল জলিল ফুলু গত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন। এরপর থেকে তিনি গ্রামের মসজিদের পঞ্চায়েত কমিটির লোকজন ও আমাকে দেখলে অত্যন্ত বাজে মন্তব্য করেন। প্রতিনিয়ত মানুষের সামনে পঞ্চায়েতের লোকজন এবং আমার নাম ধরে গালাগালি করতে থাকেন। যা আমার ছেলেরা শুনে ফুলুর বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত মসজিদ কমিটির কাছে বিচার দেয়। পঞ্চায়েতের লোকজন ফুলুকে ডাকলে তিনি ৩ সপ্তাহ পর মসজিদে গিয়ে খারাপ আচরণ করেন। একপার্যায়ে তার সাথে পঞ্চায়েতের কয়েকজনের ঠেলাধাক্কা হয়। ঘটনার পরেই এহেন আচরণের জন্য অনুতপ্ত হন। পরে অজ্ঞাত কারণে তিনি থানায় আমার ছেলে-ভাতিজা ও পঞ্চায়েতের কয়েকজনের নামে মিথ্যা অভিযোগ দেন। পরবর্তীতে ফুলুর স্ত্রী আদালতে আমার ছেলে ইবাদতসহ আরও কয়েকজনের নামোল্লেখ করে মামলা করেন। যা তদন্তাধীন রয়েছে। এরপরও ফুলু নানা মাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এলাকাবাসীর সামনে প্রকাশ্যে বলেন আমার ছেলে ক্রিকেটার ইবাদতের সম্মানহানি করতে প্রয়োজনে কোটি টাকা খরচ করবেন।
এদিকে ঘটনার ২ মাস পর স্থানীয় সাংবাদিক রুয়েল কামাল ফুলুর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমার ছেলে ক্রিকেটার ইবাদতের ছবি ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে ও কিছু অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ শুরু করেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে সাংবাদিক রুয়েল কামাল আমাদের গ্রামের মসজিদে গিয়ে আমার সাথে ও পঞ্চায়েতের লোকজন এবং মসজিদের ইমামের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। সেদিন মাগরিবের আগে বিষয়টি নিয়ে আমার ছেলে জাহানের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তিনি আমার ছেলে জাহানকে মারধর করেন। মারধরের পর রুহেল কামাল উল্টো থানায় অভিযোগ করেন। এতে তিনি আমাকে ও আমার ছেলে ক্রিকেটার ইবাদতের হোসেন চৌধুরীকে এবং আমার ছোট ছেলে জাহানকে আসামি করেন। অথচ ঘটনার সময় ইবাদত ঢাকায় দুবাইতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এই খবর শুনে লজ্জায় এবাদত মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। এতে পরিবারের মানসম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। আমার পরিবার চরম আতঙ্কে ও নিরাপত্তাহনীতায় ভুগছে। তাই আমি প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পরিবারের নিরাপত্তার পাশাপাশি এর সুষ্ঠু বিচার চাইছি।
সংবাদকর্মী রুয়েল কামাল তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আব্দুল জলিল ফুলুকে তারা মসজিদে মারধর করেছে। সেটা নিয়ে তিনি সঠিক সংবাদ প্রকাশ করেন। একারণে ইবাদতের স্বজনরা তাকে মারধর করেছে। ঘটনাস্থলে না থাকা স্বত্তে¡ও ক্রিকেটার ইবাদত হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করার কারণ স¤পর্কে জানতে চাইলে বলেন, এবাদতের পরিবার তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। এজন্য তিনিও অভিযোগ করেন। আপনারা ঘটনার খোঁজ নিলে প্রকৃত সত্য জানতে পারবেন।
অভিযোগের বিষয়ে দুবাই প্রবাসী আব্দুল জলিল ফুলু জানান, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। সেদিন মসজিদে তাকে মারধর করে উল্টো তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। এখন তার (ফুলু) বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তিনিও এসবের সুষ্ঠু বিচার চান।
Leave a Reply