আজিজুল ইসলাম ::: আমার বাবার যত টেনশন ছিলো আমাকে নিয়ে। সাংবাদিকতা পেশায় যোগ দিতে সেই টেনশনের মাত্রা গেলো বেড়ে। আমার বাউন্ডেলিপনায় একসময় হতাশও হতেন। সেই সাথে আমার দৃঢ় মনোভাবের মানুষের চক্ষুশোল হওয়া। এসব নিয়ে সদা উদগ্রীব থাকতেন।
২০২0 সালের এই দিনে তুমি চলে গেলে আমাদের ছেড়ে। শেষবারের মতো তোমার স্পর্শ না পাওয়ার আক্ষেপ আমাকে আজও পোড়ায়। বাকি জীবন হয়তো এ কারণেই আমার কাছে তোমার মৃত্যুর দিনটি নীরবে অশ্রু বিসর্জিত করাবে। তুমি স্বপ্নে আসো, আর আমি ব্যাকুল হই তোমার স্পর্শ পেতে।
আমার ছেলের জন্য তোমার কি ব্যাকুলতা। আজ সেটা উপলব্দি করতে শিখেছে । দাদার জন্য ওর অশ্রু বিসর্জন দেখে নিজেকেও সামলাতে কষ্ট হয়েছে। এখন ওর মাঝেইতো আমি তোমাকে খোঁজে ফিরি।
দেখতে দেখতে কেটে গেছে দু’টি বছর। বাবা ছাড়া মনে হয় সবি শূন্য। তোমার রাজনীতি, মানুষের জন্য কিছু করার প্রচেষ্টা- এসব। এমন নি:স্বার্থ মানব প্রেম আমি দেখিনি। তবে রাজনীতি নিয়ে কাটানো সময়গুলো, রক্ত ঝরানো এসব এখন আর কেউ মনে রাখে না বাবা। সেই স্বার্থপরের দলের এখন আর তৎপরতাও নেই খুব একটা। স্বার্থপরতার কারণেই হয়তো ওদের আজ অস্থিত্ব সংকটে। রাজনীতির ওই নোংরা পথটায় আমার বড্ড ঘেন্না।
তোমার ছেলে আজ কত বদলে গেছে। তুমি থাকলে এখন কত খুশিই হতে। তুমি যা চাইতে সবই আমি রপ্ত করার চেষ্টা করি। সত্যি! তুমি থাকলে এখন আর কোন টেনশনই করতে না। সকল দৈন্যতা আজ দূর হয়েছে। কেবল তুমি নাই-এটা মনে হলে নিজেকে সামলে উঠতে পারি না।
নীরবেই কাটুক তোমার মৃত্যু বার্ষিকী -এটা আমার মনে প্রাণে চাওয়া। তোমার রেখে যাওয়া সন্তান হিসেবে তোমার জন্য রব্বে করিমের দরবারে প্রতিনিয়তই বলি- রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানী ছাগিরা। আল্লাহ যেন তোমাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন। আমীন।।।##
Leave a Reply