বঙ্গবন্ধু হত্যার পর গ্রেফতারে নির্যাতিত কমলগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখার ছিদ্দেক আলী হাইস্কুলের ‘শতবার্ষিকী’ উদযাপনে কমিটি হিনাইনগর যুবসংঘের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গুনিজন ও কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নব বিমানসেনা দলের ৫৩ তম রিক্রুটদলের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত বড়লেখায় রহস্যঘেরা বাংলোবাড়িতে পুলিশের অভিযান বড়লেখা-জুড়ী নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের কর্মবিরতি : জনভোগান্তি মৌলভীবাজারে সুজনের গোলটেবিল বৈঠকে : নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ হলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব ছাতকে ইউএনও তরিকুল ইসলাম বিদায় নতুন ইউএনও ডিপ্লোমেসি চাকমার যোগদান কুলাউড়ার শরীফপুরে সড়কে প্রাণ গেলো ২ মোটরসাইকেল আরোহীর  বড়লেখায় আর্ন্তজাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষে ৫ অদম্য নারীকে সম্মাননা বড়লেখায় আর্ন্তজাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবসে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর গ্রেফতারে নির্যাতিত কমলগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ

  • শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২০
কমলগঞ্জ :: সৃত্মিচারণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব:) সাজ্জাদুর রহমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃনাল ধর চৌধুরী। ছবি :: সংগৃহীত

Manual7 Ad Code

প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ, কমলগঞ্জ :: স্বাধীন বাংলার অমর স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, স্বাধীনতার মহানায়ক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের হাতে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।

Manual8 Ad Code

এ ঘটনার পরদিন ১৬ আগস্ট সারা দেশে ঘাতক চক্রের হোতা খন্দকার মোস্তাকের নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দদের গ্রেফতার করে শুরু হয়েছিল শারীরিক নির্যাতন। অনেক দিন গ্রেফতার হওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কারাবন্দি রাখা হয়েছিল। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব:) সাজ্জাদুর রহমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃনাল ধর চৌধুরী স্মৃতিচারণ করলেন সে দিনের কথা।

Manual3 Ad Code

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ধলই সাব সেক্টরের সাব কমান্ডার ও কমলগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব:) সাজ্জাদুর রহমান (৮০) বলেন, ১৫ আগস্ট রাতে স্বপরিবারের ঘাতকরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর সারা দেশের মত কমলগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রেফতার শুরু করে। ১৬ আগস্ট দিবাগত রাত ৩টায় শমশেরনগর ইউনিয়নের শিংরাউলী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে কমলগঞ্জ থানার পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে একটি ট্রাকে তুলে শারীরিক নির্যাতন করে। পরে চৈত্রঘাট এলাকায় নিয়ে সেখান থেকে মুক্তিযোদ্ধা সমরু মিয়াকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে শমশেরনগর ডাক বাংলোয়। এখানে এনে এক পুলিশ সদস্য হাতে থাকা লাঠি দিয়ে সজোরে কয়েকবার আঘাত করে। এসময় তার চিৎকারে আশপাশের বাসার মানুষজন জেগে উঠেছিলেন। পরে দ্রুত তাদের কমলগঞ্জ থানায় নিয়ে হাজতখানায় আটকিয়ে রাখে।

Manual1 Ad Code

থানার হাজতখানায় তিনি দেখতে পান শমশেরনগরের মুক্তিযোদ্ধা মৃনাল ধর চৌধুরী কাজল, কমলগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর ওরফে নেতা গফুর হাজতে আটক রয়েছেন। তার আত্মীয় স্বজনরা এ দিনই ঢাকায় গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কর্ণেল (অব:) আতাউল গনি ওসমানীর কাছে গিয়ে বিষয়টি অবহিত করলে এ বিষয়টি নিয়ে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করার একদিন এক রাত হাজতে রাখার পর কমলগঞ্জ থানার তৎকালীন ওসি সুশীল চাকমা তাকে ছেড়ে দেন। ছেড়ে দিলে আটকের পরের পুলিশি নির্যাতন তিনি আজও ভুলতে পারছেন না।

শমশেরনগরের মুক্তিযোদ্ধা মৃনাল ধর চৌধুরী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট রাতে কমলগঞ্জ থানার পুলিশের একটি দল একটি দোকান থেকে ডেকে এনে তাকে আটক করে। এ খবর পেয়ে শমশেরনগরের অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা আত্মগোপন করেন। তিনি থানা হাজতে গিয়ে দেখেন সেখানে মুক্তিযোদ্ধা নেতা গফুর, ক্যাপ্টেন সাজ্জাদসহ আরও অনেককেই পুলিশ আটক করে রেখেছে। কমলগঞ্জ থানা হাজতে তাকে ১১ দিন আটক রেখে প্রতি রাতেই দ্বিতীয় কর্মকর্তা এসআই তালুকদারের নেতৃত্বে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে শেখ মুজিবের অনুসারী ও মুক্তিযোদ্ধা বলে অস্ত্র কোথায় রেখেছো প্রশ্ন করে। মুক্তিযুদ্ধের পর অস্ত্র জমা করে দিয়েছে বলার পরও চলতো শারীরিক নির্যাতন। থানা হাজতে রেখে তার মতো মুক্তিযোদ্ধা নেতা গফুরসহ অন্যান্যদের প্রতি রাতে অমানসিক নির্যাতন চালায় পুলিশ। এরপর দিয়ে দেয় মৌলভীবাজার কারাগারে। সেখান থেকে আবার ২ দিয়ে রিমান্তে এনেছিল পুলিশ।

Manual4 Ad Code

মৌলভীবাজার কারাগারে গিয়ে দেখা হয় শ্রীমঙ্গলের মুক্তিযোদ্ধা মোহন সোম, মুক্তিযোদ্ধা শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা এম এ রহিম, রাজনগরের মুক্তিযোদ্ধা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা আছকির মিয়া, জুড়ির মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যন আসুক মিয়াসহ বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার হওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে। তখন একে অন্যের সাথে নিজ নিজ থানা আজতে থাকা অবস্থায় নির্যাতনের বর্ণনা দেন। বিষয়টি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কর্ণেল (অব) বঙ্গবীর আতাউল গনি ওসমানী সে সময়ের রাষ্ট্রের দায়িত্বে থাকা খুনি চক্রের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করলে পরবর্তীতে গ্রেফতার হওয়া নির্যাতিত মুক্তিযোদ্ধাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্মৃতি চারণ করে নির্যাতিত মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, এত আন্দোলন সংগ্রাম করে একটি স্বাধীন দেশ ও পতাকা আনলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে স্বপরিবারে নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যা করে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র। সেই ব্যথা বেদনার সাথে তাদেরকে গ্রেফতার করে নিয়ে নির্যাতন করার সেই ব্যথা বেদনা আজও তারা ভুলতে পারছেন না। সরকারের কাছে তাদের দাবি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী যারা এখন ও বিদেশে পালিয়ে আছে তাদের এনে শাস্তি দিতে হবে।

এইবেলা/পিআরডি/জেএইচজে

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!