এইবেলা, সুনামগঞ্জ ::
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বিয়ের ৭ মাসের মাথায় গর্ভবতী স্ত্রীকে রেখে শালিকে নিয়ে উধাও হয়েছেন এক দুলাভাই। ঘটনাটি নিয়ে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের আগুন্ডের গাঁও এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রোকিয়া নিখোঁজ উল্লেখ করে দোয়ারাবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে ।
জিডির সূত্র ধরে জানা গেছে, গত বছরের অক্টোবর মাসে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের আগুন্ডের গাঁও গ্রামের ফয়জুল ইসলামের মেয়ে সুজিনা বেগমকে বিয়ে করেন একই ইউনিয়নের পূর্ব ঘিলাতলি গ্রামের রিয়ান উল্লাহ’র ছেলে হরুফ আলী (২৮)। তাদের বৈবাহিক সূত্রে স্ত্রী সুজিনা ৫ মাসের অন্তসত্তা।
শালিকা রুকিয়া বেগম (১৮) প্রেমের ফাঁদে ফেলে হরুফ আলী । গত ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় স্ত্রীকে তার নিজের বাড়িতে রেখে শশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন হরুফ আলী। শালিকা রুকিয়াকে নিয়ে ঈদের মার্কেট করার কথা বলে দুলাভাই হরুফ আলী উধাও হয়ে যান। এদিকে, মেয়েকে না পেয়ে পিতা ফয়জুল হক দোয়ারাবাজার থানায় রোকিয়া নিখোঁজ উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, গত বছর শশুড় ফয়জুল হকের স্ত্রীকে ধর্মের মা ডাকার মাধ্যমে তাদের বাড়িতে আসা যাওয়ার সুযোগ পায় হরুফ আলী। এক পর্যায়ে স্ত্রী সুজিনা সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় তার। পরে গত বছরের অক্টোবর মাসে সুজিনাকে নিয়ে পালিয়ে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করেন। সুজিনা ৫ মাসের অন্তত্তা হয়। এদিকে বিয়ের ৭ মাস পার হতে না হতে শালিকা রুকিয়াকে নিয়ে আবারও পালিয়ে যায় দুলাভাই হরুফ আলী। একসাথে দুই বোনকে নিয়ে এমন ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় হরুফ আলীর বাড়িতে সাংবাদিকরা গেলে তার বাড়িতে তালা ঝুলানো দেখা যায়। বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। সাংবাদিকের উপস্থিতি ঠের পেয়ে হরুফ আলীর বাড়িতে জড়ো হয় গ্রামের লোকজন। এসময় গ্রামের লোকজন জানান, হরুফ আলী দুষ্টু প্রকৃতির লোক। সে এর আগে গ্রামে আরও একাধিক ঘটনা করেছে। এলাকার মেয়েরা তার ভয়ে একা বের হতে ভয় পায়। স্থানীয়রা জানান স্ত্রী সুজিনাকে বিয়ে করার আগে হরুফ আলী পাশবর্তী গ্রাম জাহাঙ্গীর গাঁও গ্রামের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছিলো, এতে দুটি ছেলে সন্তান জন্ম হওয়ার পর পর ওই স্ত্রীকে রেখে পালিয়ে বিয়ে করে সুজিনাকে।প্রথম স্ত্রীর সাথে হরুপ আলীর মামলা চলমান রয়েছে।
সুজিনা ও রোকেয়ার পিতা ফয়জুল হক জানান, আমি ভিক্ষা করে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ৪ ছেলে ২ মেয়ে নিয়ে অতি কষ্টে দিনপাত করছেন। আমাদের পরিবারে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।
সুজিনা বেগম বলেন, ৫ মাসের অন্তসত্তা শিশু সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি চিন্তিত। আমি আমার স্বামীকে চাই। স্বামীর সুষ্টু বিচার চাই।
দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবদুলাল ধর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তাকে পুলিশ খুঁজছে। আটক করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply