কমলগঞ্জে অগ্নিকান্ডে ১৬ দোকানসহ বসতবাড়ি পুড়ে ছাঁই : দেড় কোটি টাকার ক্ষতি – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখার ছিদ্দেক আলী হাইস্কুলের ‘শতবার্ষিকী’ উদযাপনে কমিটি হিনাইনগর যুবসংঘের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গুনিজন ও কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নব বিমানসেনা দলের ৫৩ তম রিক্রুটদলের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত বড়লেখায় রহস্যঘেরা বাংলোবাড়িতে পুলিশের অভিযান বড়লেখা-জুড়ী নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের কর্মবিরতি : জনভোগান্তি মৌলভীবাজারে সুজনের গোলটেবিল বৈঠকে : নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ হলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব ছাতকে ইউএনও তরিকুল ইসলাম বিদায় নতুন ইউএনও ডিপ্লোমেসি চাকমার যোগদান কুলাউড়ার শরীফপুরে সড়কে প্রাণ গেলো ২ মোটরসাইকেল আরোহীর  বড়লেখায় আর্ন্তজাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষে ৫ অদম্য নারীকে সম্মাননা বড়লেখায় আর্ন্তজাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবসে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা

কমলগঞ্জে অগ্নিকান্ডে ১৬ দোকানসহ বসতবাড়ি পুড়ে ছাঁই : দেড় কোটি টাকার ক্ষতি

  • সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০২০

Manual8 Ad Code

এইবেলা,  কমলগঞ্জ ::

Manual3 Ad Code

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের বাসুদেবপুর এলাকার ঠাকুর বাজারে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ১৬টি দোকানঘর ও ১টি বসতবাড়ি ভূস্মিভুত হয়েছে। সোমবার ২৪ আগস্ট ভোর ৫টায় আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে।

Manual8 Ad Code

এলাকাবাসীর অভিযোগ কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতির কারনে আগুনে পুড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অগ্নিকান্ডে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোর ৫টায় ঠাকুরবাজারে একটি মুদি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন দেখে বাজার প্রহরী বাসুদেবপুর মসজিদের মোয়াজ্জিন আরজু মিয়া মসজিদের মাইকে এলাউন্স করে বিষয়টি এলাকাবাসীকে অবহিত করেন। এলাকাবাসী এসে কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসকে কয়েকদফা ফোন করলে কেউ ফোন রিসিভ করেনি। মুঠোফোনে ফায়ার সার্ভিসের সাথে যোগযোগ করতে না পেরে স্থানীয় শুকুর মোল্লা নামে এক ব্যাক্তি প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ সাইকেলে অতিক্রম করে এসে অফিস থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের নিয়ে যান ঘটনাস্থলে। তবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় আধাঘন্টা অতিবাহিত করেও পানির পাম্প চালু করতে না পারায় আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেতে থাকে। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। পরে শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। অগ্নিকান্ডে নান্নু স্টোর, দেওয়ান চালের দোকান, সাহবাগ ধানের দোকান, মামনি কনফেকশনারি, শাহজালাল ভেরাটিজ স্টোর, কে এম মেডিকেল হল, জননী মেডিকেল সেন্টার, মহিউদ্দিন কম্পিউটার, হাসিম টি স্টল, নকুল সেলুন, মকসন স্টোর, বাছির ফার্নিচার, মহসিন ভেরাইটিজ স্টোর, চন্দন সেলুন, হাফিজ ভেরাইটিজ স্টোর, নজরুল মিয়ার গুদাম ঘর ও জুয়েল মিয়া’র বসত বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের এমন গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে প্রায় ৩ শতাধিক এলাকাবাসী। আগুন নিয়ন্ত্রনের পর দীর্ঘসময় কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আটকে রাখে বিক্ষুদ্ধ জনতা। পরে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক এর আশ্বাসে উপজেলা মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সুব্রত দেবরায় সঞ্জয় এর মধ্যস্থতায় কমলগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িটিকে ছেড়ে দেয় বিক্ষুদ্ধ জনতা।

ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক, কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, উপজেলা বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল, কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো: জুয়েল আহমেদ, মুন্সিবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালিব তরফদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

Manual3 Ad Code

ঠাকুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো: জইনউদ্দিন, ব্যবসায়ী মো: সালাউদ্দিন, রফিক মিয়া, আব্দুল্লা মিয়া, সাবেক মেম্বার মোবারক মিয়াসহ শতাধিক এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতির কারণে আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগুন লাগার পর থেকে কয়েকদফা ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিলেও তারা কেউ ফোন না ধরায় স্থানীয় শুকুর মোল্লা তাদেরকে অফিস থেকে গিয়ে নিয়ে আসেন। কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস যখন ঘটনাস্থলে পৌছায় তখন তিনটি দোকানে আগুন ছিলো। তাদের পানির পাম্প নষ্ট বলে দীর্ঘ আধাঘন্টা অতিবাহিত করে। পরে শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের গড়িমসির কারণে এত টাকার ক্ষতি হয়েছে। আগুনে পড়ে সব ছাই হয়ে গেছে। তারা আসার পর যদি আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করত তাহলে এত দোকান জ্বলত না। পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোই ছিলো তাদের শেষ সম্ভল। এই দোকানের আয় দিয়েই তাদের সংসার চলত। এখন তাদের পথে বসার উপক্রম। তারা এর সুষ্ট বিচার দাবি করেছেন। তাদের ক্ষয়ক্ষতি পুসিয়ে দেবার আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

Manual3 Ad Code

এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন জানান, আমরা ঘটনার খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থেকে এসে প্রায় একঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে পেরেছি। আমাদের আরো কিছুক্ষণ আগে জানালে আগুনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আরো কমানো যেত।

কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের লিডার আব্দুল কাদির জানান, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমাদের পানির পাম্পটি নষ্ট হওয়ায় কাজ করতে পারিনি।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আশেকুল হক জানান, ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতির কারণে এই অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি তদন্তক্রমে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যথাযথ বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক এর সাথে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্থরা যাতে যথাযথ ক্ষতিপূরণ পায় সে ব্যবস্থা করা হবে। আগুনের সূত্রপাত ও ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতির কারন অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!