বড়লেখায় জালিয়াতি করে দেবোত্তর সম্পত্তি বিক্রি : ৫ সেবাইতকে দুদকে তলব বড়লেখায় জালিয়াতি করে দেবোত্তর সম্পত্তি বিক্রি : ৫ সেবাইতকে দুদকে তলব – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখায় ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি কারাগারে খাসিয়াদের ঐতিহ্যবাহী বর্ষবিদায় উৎসব ‘সেং কুটস্নেম’ এবার হচ্ছে না কুলাউড়ায় জিসাস এর নতুন কমিটি গঠন আহবায়ক সোহেল সদস্য সচিব সায়ন উত্তর কুলাউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুলাউড়া শাহ সুন্দর উচ্চ বিদ্যালয় : জালিয়াতি করে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনও প্রশাসনে বহাল : মাওলানা সেলিম উদ্দিন নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আব্দুর রকিব মন্টুর সংবাদ সম্মেলন : টর্চার সেল বা আয়নাঘর নামে অপপ্রচার কুলাউড়া ও রাজনগরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ ও তৈজষপত্র বিতরণ নিটার ফ্যাশন ক্লাবের কমিটি ঘোষণা  নিটারে অনুষ্ঠিত হলো হল ফেস্ট-০৫ 

বড়লেখায় জালিয়াতি করে দেবোত্তর সম্পত্তি বিক্রি : ৫ সেবাইতকে দুদকে তলব

  • বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০২০

আব্দুর রব, বড়লেখা ::

বড়লেখায় জালিয়াতির মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকার দেবোত্তর সম্পত্তি বিক্রির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন ৫ সেবাইতকে তলব করেছে। গত ১২ আগস্ট দুদকের হবিগঞ্জ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে হাজিরের নোটিশ দেয়া হলেও তারা কেউ সেখানে উপস্থিত হননি।

নোটিশপ্রাপ্ত সেবাইতরা হলেন- রাধাকান্ত পুরকায়স্থ, শ্যামাকান্ত পুরকায়স্থ, অরবিন্দু রায় পুরকায়স্থ, রনেন্দ্র কুমার রায় পুরকায়স্থ (মৃত) ও রুদ্রেন্দ্র কুমার রায় পুরকায়স্থ (ভোলা)। সোমবার দুদকের (হবিগঞ্জ) একটি অনুসন্ধান টিম বড়লেখায় গিয়ে কয়েকজন দেবোত্তর রেকর্ডভুক্ত ভুমি ক্রেতার জবানবন্দী গ্রহণ করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুত্রের অভিযোগ উক্ত দেবোত্তর সম্পত্তির অন্যতম সেবায়েত রনজিৎ কুমার রায় পুরকায়স্থও জাল কাগজে লাখ লাখ টাকার দেবোত্তর সম্পত্তি বিক্রি করেছেন। কিন্ত তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক হওয়ায় দুদক এখনও তাকে তলব করেনি।

উলেখ্য ২০১৮ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর সিলেটের একটি দৈনিকে ‘বড়লেখায় সেবাইতরা বিক্রি করছে কোটি কোটি টাকার দেবোত্তর সম্পত্তি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হলে প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়। অনুসন্ধানে মাঠে নামে দুদক।

জানা গেছে, উপজেলার পানিধার গ্রামের দেবভক্ত প্রয়াত জমিদার রামকুমার রায় পুরকায়স্থ প্রায় ৭৫ বছর পূর্বে উইলের মাধ্যমে কাঠালতলী মৌজাসহ কয়েকটি মৌজায় ১৩০৩ একর ভুমি শ্রী শ্রী লক্ষী নারায়ন জিউ নামে দেব্ত্তোর করেন। দলিলের মোট ১৪টি শর্তের ৬ নম্বরে তিনি ঘোষণা করেন সেবাইতগন কিংবা তম্মধ্যে কেহ উক্ত দেবোত্তর সম্পত্তি কোন প্রকার দান, বিক্রী, হস্তান্তর, কোথাও দায়বদ্ধ কিংবা ভাগবাটোয়ারা করতে পারবেন না। বংশানুক্রমিক উত্তরাধীকারীগন দেবোত্তর সম্পত্তির সেবাইত থাকবেন। দেবোত্তর সম্পত্তি নীতিমালা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক উক্ত সম্পত্তির তত্তাবধায়ক। ক্রয়-বিক্রয়ের সুযোগ নেই এমন দেবোত্তর সম্পত্তির সেবাইতরা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ইচ্ছেমতো কোটি কোটি টাকার ভু-সম্পত্তি বিক্রি করেছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কাঠালতলী মৌজায় এসএ ৬৪৮ দাগের ৩০ শতাংশ দেবোত্তর সম্পত্তি সেবাইত রনেন্দ্র কুমার পুরকায়স্থ, রমা কান্ত পুরকায়স্থ, রাধাকান্ত পুরকায়স্থ ও শ্যামাকান্ত পুরকায়স্থ ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর ৪৭১৫নং দলিলে ছিদ্দিকুর রহমান, ফয়জুর রহমান ও সুয়েদুর রহমানের নিকট বিক্রি করেন। সেবাইত রনেন্দ্র কুমার রায় পুরকায়স্থ, রুদ্রেন্দ্র কুমার রায় পুরকায়স্থ, রমাকান্ত রায় পুরকায়স্থ, রাধাকান্ত রায় পুরকায়স্থ, শ্যামাকান্ত রায় পুরকায়স্থ এসএ ৮৩২ নং দাগের ৬১ শতাংশ দেবোত্তর জমি ভুয়া কাগজে নিজেদের নামে রেকর্ডভুক্ত করে ২০০৫ সালের ২৯ জুন ৩০৬৬ নং দলিলে আজমল আলীর নিকট হস্তান্তর করেন। সেবাইত রনজিৎ কুমার রায়সহ অন্যান্য সেবাইতরা ২০১৫ সালের ১৪ মে ১৫৪৩ নং দলিলে ৭ শতাংশ ভুমি একেএম হেলাল উদ্দিন ও জাকিয়া সুলতানার নিকট বিক্রি করেন। সেবাইত রাধাকান্ত রায়, শ্যামাকান্ত রায় ও রনজিৎ কুমার রায় (বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক) ২০১৪ সালের ৪ মে ১৪ শতাংশ দেবোত্তর সম্পত্তি আব্দুর রাজ্জাকের নিকট হস্তান্তর করেন। রনজিৎ কুমার রায়সহ সেবাইতরা ৬৩৯/২০১৭ নং দলিলে নিজেদের সৃজিত জাল কাগজে ২০ শতক দেবোত্তর ভুমি ৬৫ লাখ টাকায়, সেবাইত রুদ্রেন্দ্র কুমার পুরকায়স্থ ভোলা কাঠালতলী মৌজার পানিধারে ১৭ শতাংশ দেবোত্তর ভুমি ১০ লাখ টাকায় হস্তান্তর করেছেন।

দুদকের হবিগঞ্জ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. এরশাদ মিয়া জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয় থেকে দেবোত্তর সম্পত্তি বিক্রি/হস্তান্তরের এ অভিযোগটি তদন্তের অনুমোদন পাওয়া যায়। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে অভিযোগ সংশিষ্টদের বক্তব্য গ্রহণের জন্য ৫ সেবাইতকে ১২ আগস্ট দুদক হবিগঞ্জ, সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে তলব করেন। কিন্তু নির্ধারিত তারিখে কেউ উপস্থিত হননি। তবে ১/২ জন যোগাযোগ করে সময় চেয়েছেন। দুদক ধাপে ধাপে অভিযোগের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সোমবার দুদকের অনুসন্ধান টিম সরেজমিনে কয়েকজন দেবোত্তর রেকর্ডীয় ভুমি ক্রেতার জবানবন্দী গ্রহণ করেছে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews