বর্ষাকালে নাও আর শুকনোকালে পাও;
এমন চিত্র দেখতে হলে হাওরাঞ্চলে যাও।
বিশাল জলরাশি দিতে চাও পাড়ি, নাও ভাসি;
পাও যদি সময়, দু’চোখ ভরে, দেখিও আসি।
ছোটো ছোটো বাড়িগুলো, লাগে যেন দ্বীপ;
রাতের শোভা অঙ্গে বাড়ে, জ্বললে প্রদীপ।
লতা-গুল্ম বৃক্ষরাজি, আছে হেথায় সারি সারি;
সাবধানে পথ না চললে, আটকাতে পারে তরী।
মৎস্যকূল আর জলজ প্রাণি, সাথে হংস-মিথুন;
হাওর জুড়ে ডুবোচর, হিজলের বন, সৃষ্টি নিপুণ!
জোৎস্না রাতে হাওর জলে, চাঁদের আলো মিশে;
রূপ-সৌন্দর্য অনেক বাড়ে, নয়ন জুড়াবে এসে।
শুকনোকালে খাঁ খাঁ হাওর, বিলে বন্দী জল;
হাওরপথে চলতে তখন, পায়ে থাকা চাই বল।
রবি শস্য ও সোনালী ধানে, ভরে হাওরের মাঠ;
অকাল বন্যায় পেলে আবার রিক্ত চাষির পাঠ।
ঋতু বৈচিত্র্যে পাল্টে যেমন হাওরের রূপ-বর্ণ,
সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা বেলা, দেখা যায় রূপ ভিন্ন!
হাওর পাড়ের হাওরজীবিরা, বাঁচে নানা সংগ্রামে;
সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, কিনে নেয় জীবনের দামে।
Leave a Reply