কমলগঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ: পূর্ব শত্রুতার জেরে অপহরণ ও নির্যাতন কমলগঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ: পূর্ব শত্রুতার জেরে অপহরণ ও নির্যাতন – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

কমলগঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ: পূর্ব শত্রুতার জেরে অপহরণ ও নির্যাতন

  • রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

এইবেলা, কমলগঞ্জ ::

পূর্ব শত্রুতার জেরে স্কুল পড়ুয়া ছেলে আনোয়ার হোসেন (১৮) কে অপহরণ ও নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা দেয়ায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ প্রতিপক্ষের লোকেরা মামলা, হামলার হুমকি দিচ্ছেন।

রোববার 0৬ সেপ্টেম্বর কমলগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির শমশেরনগরস্থ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের সঞ্জরপুর (বেড়িগাঁও) গ্রামের দেলোয়ারা বেগম। তবে শরীফপুর ইউপি চেয়ারম্যান অভিযুক্ত ছেলেটিকে মোবাইল চুর বলে আখ্যা দেন।

সংবাদ মম্মেলনে লিখিত অভিযোগে দেলোয়ারা বেগম বলেন, আমাদের একই গ্রামের ছাদু মিয়ার ছেলে কাওছার আহমদ মশি (২৫), জুনাব আলীর ছেলে জিয়াউর রহমান জিয়া (৩০), মোস্তফা মিয়ার ছেলে কাওছার মিয়া (১৮) ও মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মারুফ মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম (৩০), আনফর মিয়ার স্ত্রী গুলনাহার বেগম (২৮) প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। নানা সময়ে তাদের অসামাজিক কার্যকলাপ দেখে ফেলায় আমার ছেলে আনোয়ার হোসেন (১৮) কে প্রথমে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে অমানসিক নির্যাতন, তারপর অপহরণ ও প্রাণে হত্যার চেষ্টা করে।

গত ৭ জুলাই মঙ্গলবার রাত ১০ টায় তজমুল মিয়ার ঘরে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে। এসময়ে কাওছার আহমদ, জিয়াউর রহমান ও কাওছার মিয়াসহ অন্যান্য লোকদের নিয়ে আমার ছেলেকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে। তখন আমি ও আমার পিতা মু্িক্তযোদ্ধা আবুল কালাম ছেলেকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে আমার পিতাকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে ম্যাগনেট লাইট দিয়ে আঘাত করে। পিতাকে বাঁচাতে গেলে প্রতিপক্ষরা আমাকে টানাহেচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। এই আক্রোশে আমার ছেলেকে প্রাণেহত্যার জন্য গত ২১ জুলাই সন্ধ্যায় উক্ত তিন সন্ত্রাসীসহ অজ্ঞাত তিন ব্যক্তি রাস্তা থেকে আমার ছেলের মুখে কাপড় দিয়ে কালো রঙের নোহা গাড়িতে হাত, মুখ ও পা বেঁধে ফেলে এবং অপরহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর আমার ছেলের ডান ও বাম পায়ে চেতনানাশক দু’টি ইনজেকশন দেয়। এসময় বিকাশ থেকে তুলা ছেলের পকেট থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা ও দুইটি মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়। এঘটনায় আমার পিতা গত ২২ জুলাই কুলাউড়া থানায় জিডি করেন। গত ২৩ জুলাই সন্ত্রাসীরা কমলগঞ্জের শমশেরনগর রেল স্টেশনে রেখে চলে যায়। পরে ছেলেকে পাওয়ার পর থানা থেকে জিডি প্রত্যাহার করি।

ছেলের বন্ধু তামিম স্টেশন থেকে ছেলেক বাড়িতে নিয়ে আসে। তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর দেখে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল, কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করি। বর্তমানে ছেলের কোমরের নিচ হতে দুই পা এখন পর্যন্ত অচেতন রয়েছে।

প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীদের এহেন ঘটনায় গত ১৯ আগষ্ট মৌলভীবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করি। এই মামলা দায়েরের পর হইতে আসামীরা আমাকে ও আমার পরিবারকে মামলা মোকদ্দমায় জড়ানোর ও মেরে ফেলাসহ নানা ধরণের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। এতে তারা আতঙ্কগ্রস্ত দিন কাটছেন বলে অভিযোগ করেন।

তবে অভিযোগ বিষয়ে শরীফপুর ইউপি চেয়ারম্যান জুনাব আলী বলেন, ছেলে মোবাইল চুরি করেছে সেটি প্রমাণিত হয়েছে। অন্যান্য বিষয় সঠিক নয়। এবিষয়ে মহিলা যখন সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছে তাহলে আপনারা সেটি অনুসন্ধান করে দেখেন বলে জানান।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews