কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে ১৪ জন উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তাসহ ১৭টি পদ শুণ্য থাকায় পরামর্শ ও সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গ্রামগঞ্জের কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের সুত্র জানায়, কমলগঞ্জ উপজেলায় ২৮ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পদ থাকলেও এর মধ্যে ১৪টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শুণ্য রয়েছে। এছাড়া বাকি ৩টি শূণ্য্য পদ হলো উচ্চমান উপসহকারী পদ ১ টি, অফিস সহকারী ১টি ও নাইটগার্ড ১টি পদ শূণ্য রয়েছে। বিশেষ করে ১৪ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা না থাকায় ইউনিয়ন পর্যায় কৃষকেরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকেরা জানান, আমরা আউশ, আমনধান ও শীতকালীন সবজীতে বিভিন্ন সমস্যা হলে ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পাইনা। একটি ইউনিয়নে ৩জন কর্মকর্তা থাকার কথা সেখানে আছেন মাত্র ১জন। এতে কৃষকেরা সুপরামর্শ না পেয়ে অনেক বিভ্রান্তিতে পড়তে হয় বলে তারা জানান।
পতনঊষার ইউনিয়নের কৃষক আবু আলী বলেন, জমিতে পোকামাকড়ের আক্রমণ বা পঁচা রোগ ফসলে আসলে আগে বা পরে সঠিক সময়ে কখনও কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ পাইনি। জমিতে কখন কোন সার বা কীটনাশক দিতে হয় তা স্থানীয় কৃষি দোকানিদের কাছ থেকে জেনে আমরা জানি। সঠিক পরামর্শের অভাবে কাঙ্খিত ফসল উৎপাদন পেতে আমার মতো অনেক কৃষককে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, জনবল সংকটের কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। একটি ইউনিয়নে ৩জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা থাকার কথা সেখানে অনেক ইউনিয়নে মাত্র ১ জন আছেন। জনবল সংকটের কারণে কৃষকেরা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এইসব শূণ্য পদ গুলোতে যতদ্রুত নিয়োগ দেওয়া হবে তত বেশি সেবা পাবে কৃষকেরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার এর উপপরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, খুব শিগগিরই কমলগঞ্জে ২ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এছাড়া বাদ বাকিদেরকে নির্বাচনের পরে নিয়োগ দেওয়া হবে। জনবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।#
Leave a Reply