ইউরোপ প্রতিনিধি::
মরক্কো, স্পেন, ফ্রান্স ও ইতালির পর ইতিহাস ঐতিহ্যর দেশ পর্তুগালের লিসবনে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বাংলা কাগজ কমিউনিটি এওয়ার্ড পেলেন ১৫ জন বাংলাদেশী। দীর্ঘ জীবন সাংবাদিকতায় বাংলা কাগজ কমিউনিটি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন বৃটিশ প্রবাসী সাংবাদিক সেলিম উদ্দিন। সম্প্রতি তাঁর হাতে এ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস রাষ্ট্রদূত মিসেস রেজিনা আহমেদ ও সাবেক বৃটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী এবং স্কটিশ পার্লামেন্ট মেম্বার ফয়সাল চৌধুরী ও বামিংহাম বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সহ গণমাধ্যম কর্মিরা।
এওয়ার্ডপ্রাপ্ত সাংবাদিক সেলিম উদ্দিন মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদনগর গ্রামের মরহুম মরহুম হাজী ছাদ উদ্দীনের বড় ছেলে।
ইউরোপের বাঙালী কমিউনিটির প্রতিথযশা বাংলা গণমাধ্যমকর্মী সেলিম উদ্দিনের প্রবাসে সাংবাদিকতা শুরু ২০০৬ সালে ফ্রান্স থাকাবস্থায়। পরবর্তীতে তিনি পর্তুগালে পাড়ি জমালেও সেখানেও জড়িয়ে পড়েন সাংবাদিকতায়। তখন পর্তুগালে বাংলা গণমাধ্যমে বলতে গেলে কেউ-ই সরব ছিলেন না। বাঙালী কমিউনিটির নানা তথ্য-সংবাদ সংগ্রহে বাংলা টিভির প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ছুটে চলতেন পর্তুগালের এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্ত। পরবর্তীতি তার উৎসাহে এবং মূলতঃ তার মাধ্যমেই পর্তুগালে আরো বেশ ক‘জন সাংবাদিকতায় যুক্ত হোন। সেলিম উদ্দিন শুধু সাংবাদিকতা-ই নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতায় কমিউনিটির উন্নয়নেও নানাভাবে কাজ করেছেন। পর্তুগালের তৎকালীন বাংলাদেশী রাষ্টদূত ইমতিয়াজ আহমদের সহযোগিতায় লিসবনের স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপনে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে তিনি লিসবনের মেয়রের সাথে কয়েক দফা বৈঠক করেন এবং পরবর্তীতে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। পর্তুগালে বাংলাদেশের দূতাবাস স্থাপনে সেলিম উদ্দিন পর্তুগালের বাঙালী নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বাংলাদেশের পরররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের উচ্চমহলে লবিং করেন।
সাংবাদিকতার বাইরেও তিনি পর্তুগালের প্রবাসী বাঙালী শিশু-কিশোরদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিজয় ফুল কর্মসূচি, পিঠা উৎসব ছাড়াও ২০১৭ সালে অবৈধ অভিবাসীদের ধর-পাকড়ের সময় পর্তুগালের বিভিন্ন সংগঠনকে নিয়ে সংসদ ভবনে মানববন্ধন করার পাশাপশি পর্তুগালের রাষ্ট্রপতিকে পত্র দিয়ে তাঁর সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করে অভিবাসীদের বিভিন্ন বিষয়াদি উপস্থাপন করেন। একজন গণমাধ্যমকর্মী হয়েও যে কমিউনিটির সেবা করা যায়, তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বড়লেখার এই প্রবাসী সাংবাদিক সেলিম উদ্দিন।
Leave a Reply