এইবেলা, কমলগঞ্জ ::
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের ১০ মাস অতিবাহিত হলে ও এখনও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি। ইতিমধ্যে কমিটি গঠনের লক্ষ্যে একাধিক বৈঠক করেছে আওয়ামীলীগের ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি। সম্প্রতি কমিটি গঠনের কার্যক্রম শুরু করলে আওয়ামীলীগের কমিটিতে পদ-পদবী পাওয়ার জন্য অনেকেই দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছেন।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর কমলগঞ্জ উপজেলা মাল্টিপারপাস হল রুমে প্রধান অতিথি হিসেবে তৎকালীন সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন উপস্থিত থেকে সম্মেলনের মাধ্যমে আছলম ইকবাল মিলন কে সভাপতি, ফজলুল হক বাদশা ও ছিদ্দেক আলীকে সহ সভাপতি এবং এডভোকেট এএসএম আজাদুর রহমান আজাদকে সাধারণ সম্পাদক ও আব্দুল হান্নান ও অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করে ৬ সদস্য বিশিষ্টি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের ১০ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করা শর্তে আলাপকালে বলেন, আওয়ামীলীগের সম্মেলন করার ১০ মাস অতিবাহিত করলে ও এখন ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি উপহার দিতে পারেনি। তাই কমলগঞ্জে আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক কর্মকান্ড শুধু মাত্র রাষ্ট্রিয় কর্মসূচী পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে রয়েছে। এতে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা দলীয় কোন কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছে না। তাই দল ও ঝিমিয়ে পড়ছে।
তারা আরো বলেন, সম্প্রতি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করে সুবিধাভোগী ও পকেট কমিটি বা পরিবারতন্ত্র কেন্দ্রীক কমিটি গঠনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। যদি পকেট কমিটি বা পরিবারতন্ত্র কেন্দ্রীক কমিটি গঠন হয় তবে তা দলের জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনবে না।
কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এএসএম আজাদুর রহমানের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় রাজনৈতিক সংগঠন। এর নেতাকর্মী ও অনেক। তাই অনেকেই কমিটিতে পদ পেতে চায়। তবে সবাইতো আর কমিটিতে স্থান পাবেনা। আমরা শীঘ্রই সুন্দর কমিটি উপহার দেয়ার চেষ্টা করবো।
অপর এক প্রশ্নে তিনি আরো বলেন, এখানে সুবিধাভোগী বা পরিবারতন্ত্রের কোন সুযোগ নেই। দলের সাথে যাদের নিবিড় সম্পর্ক আছে বা দলের নিবেদিত কর্মী তারাই তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী কমিটিতে স্থান পাবেন। #
Leave a Reply