ফুলবাড়ীর মানুষের দাবি বাংটুর ঘাটে ব্রিজ চাই ফুলবাড়ীর মানুষের দাবি বাংটুর ঘাটে ব্রিজ চাই – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়ায় যানজট নিরসনে অভিযানে অর্ধশত গাড়ির চাবি জব্দ কমলগঞ্জে মন্দির সংস্কার ও অস্বচ্ছল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ কুলাউড়ায় আ’লীগের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে বাদী : নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি মণ্ডপের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার সব ব্যবস্থা নিয়েছে বিজিবি-সেক্টর কমান্ডার শ্রীমঙ্গল জুড়ীতে পূজামণ্ডপ কমিটির সাথে জামায়াত নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় কুলাউড়ায় নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনের আহবান সেনাবাহিনীর মৌলভীবাজারে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে কুলাউড়ার জয়চন্ডীতে সেনাবাহিনীর খাদ্য সামগ্রী বিতরণ বড়লেখা শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটি বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি নিটারের নতুন ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম

ফুলবাড়ীর মানুষের দাবি বাংটুর ঘাটে ব্রিজ চাই

  • রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :: এক সময়ের কোলাহল পূর্ণ বাংটুর ঘাটে এখন সুনসান নিরবতা। ৩০ মিনিট পরপর ট্রিপ,প্রতি ট্রিপে স‍্যালো ইঞ্জিন চালিত নৌকায় কিছু লোক এপার ওপার হলেও নেই আগের মত কোলাহল ও হৈ চৈ। নিশব্দে চলে ঘাট পারাপারের কারবার। আরডি আর এস বাজার হতে কাঁঠলবাড়ীর বাংটুর ঘাট পর্যন্ত  প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তা নদীপথে পাড়ি দিয়ে বাংটুর ঘাটে সড়কে উঠতে হয়।
কুড়িগ্রাম জেলা সদর এর সাথে ফুলবাড়ী উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র মহাসড়কটি ধরলার ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে সেখানে নদীর চর জেগ উঠেছে । ফলে যানবাহন তো দুরের কথা,পায়ে হেটে যাতায়াত করাও  কষ্টকর। যাতায়াতের একমাত্র মাধ‍্যম স‍্যালো নৌকা। শুকনো মৌসুমে নদীর বুকে চর জেগে উঠে। ফলে নদীর বাকের ঘুরাপথে প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তা পার হতে এক দের ঘন্টা সময় লাগে। বর্ষাকালে নদীর দুরত্ব কমলেও পানিপ্রবাহ বেশি ও বন‍্যায় ধরলা রাক্ষুসি হয়ে উঠে ফলে স‍্যালো নৌকায় প্রায় চারকিলোমিটার রাস্তা যাতায়াত করাও ঝুঁকিপূর্ণ।
মাঝেমধ‍্যে দুর্ঘটনা ও প্রাণ হানি ঘটে। যোগাযোগ ব‍্যবস্থার এরূপ বেহাল দশার কারণে জরুরি প্রয়োজনে মানুষকে অনেক দুভোর্গে পড়তে হয়।
ধরলা নদীর উপর নাগেশ্বরীর উপজেলার পাঠেশ্বীরি সেতু ও লালমনিরহাট ফুলবাড়ী সিমান্তে কুলাঘাট সেতু নির্মান করা হলেও  ফুলবাড়ী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মানুষের তাতে দুঃখের অবসান হয়নি।
প্রায় ৩০-৩৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরাপথে বিভিন্ন জরুরি প্রয়োজনে জেলাশহর কুড়িগ্রামে যেতে এ দুটি সেতুদিয়ে যাতায়াতে তাদের তিন চারগুন টাকা বেশী খরচ করতে হয়।
প্রশাসনিক কাজে বিভিন্ন প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ ঘুরাপথে পাঠেশ্বরী সেতু অথবা কুলাঘাট সেতু দিয়ে যাতায়াত করেন।
এতে, অর্থ,সময় ও অফিসের কর্মঘণ্টার অপচয় হয়। মামলা,মোকদ্দমা, চিকিৎসা, শিক্ষা,চাকুড়ী ও জীবিকা নির্বাহের বিভিন্ন শ্রমের কাজের জন‍্য ফুলবাড়ীর হাজার হাজার মানুষকে প্রতিদিন জেলা শহর কুড়িগ্রামে যেতে হয়। ফুলবাড়ী উপজেলা একটি সিমান্তঘেষা দরিদ্র এলাকা এখানে শিল্পকলকারখানা তেমন  গড়ে উঠেনি।
মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা অনেক কম।  বিভিন্ন জুরুরি প্রয়োজনে, জীবিকা নির্বাহের জন‍্য যাতায়াতে ও মামলার মোকদ্দমার টাকা জোগাড় করতে অনেকে নি:স্ব প্রায়। তাই ফুলবাড়ীর মানুষের প্রাণের দাবী ফুলবাড়ী-কুড়িগ্রাম মহাসড়কে বাংটুর ঘাটে ধরলা নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ করলে ফুলবাড়ী উপজেলার মানুষের দুভোগের অবসান হত।
বড়ভিটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো: আতাউর রহমান মিন্টু বলেন , ফুলবাড়ী উপজেলার প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষকে বিভিন্ন  প্রয়োজনে  প্রতিদিন কুড়িগ্রামে যেতে হয়। ফুলবাড়ীবাসীর যাতায়াতের সুবিধার জন‍্য বাংটুর ঘাটে ধরলা নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মাণ অতিব জরুলি।
কুড়িগ্রাম – ২ আসনের এমপি  বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: হামিদুল হক খন্দকার বলেন, বাংটুর ঘাটে ব্রিজের জন‍্য সংসদে কথা বলেছি, বর্তমানে  ব্রিজের জন‍্য প্রয়োজনীয় সার্ভে হচ্ছে। সামনে এখানে ব্রিজ হওয়ার ব‍্যপারে আমি আশাবাদী।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews