বড়লেখার যুবককে দুবাই নিয়ে প্রতারণা, পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে মামলা বড়লেখার যুবককে দুবাই নিয়ে প্রতারণা, পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে মামলা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভারত থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ : বিজিবির হাতে শিশুসহ ৫ বাংলাদেশী আটক বড়লেখায় সম্প্রীতি রক্ষায় ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে প্রশাসনের মতবিনিময় আত্রাইয়ে গ্রাম পুলিশের সাথে নবাগত ইউএনও‘র মতবিনিময় নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন যুবলীগ নেতা- বড়লেখায় জিম্মি রেস্টুরেন্ট খুলে দিলেন ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজারে পূবালী ব্যাংকের নতুন ভবনে যাত্রা শুরু কমলগঞ্জের শমশেরনগর : বিমান বাহিনীর ৫২ তম প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস ও  মহান বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভা কমলগঞ্জে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব এবং পরিবেশগত সমস্যা বিষয়ক প্রচারাভিযান কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দীর্ঘদিনের কোন্দল মেটালেন জেলা আহবায়ক জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে ‘ফ্রেন্ডশিপ’ এর জেলা পর্যায়ে মর্যাদাপূর্ণ ‘প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক এ্যাওয়ার্ড’ অর্জন

বড়লেখার যুবককে দুবাই নিয়ে প্রতারণা, পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে মামলা

  • বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪

এইবেলা, বড়লেখা:

বড়লেখা উপজেলার এক যুবককে ভালো চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে দুবাই নিয়ে প্রতারণা করেছে দুবাই প্রবাসী এক দালাল। প্রতারণার শিকার যুবকের নাম বিমল চন্দ্র দাস। বিমল দুবাইয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সে উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামের রসেন্দ্র দাসের ছেলে। তার ভাই নকুল চন্দ্র দাস দুবাই প্রবাসী দালাল ও তার বাবার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন। আদালত অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযুক্তরা হচ্ছে- দুবাই প্রবাসী উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের সালদিগা গ্রামের বিনোধ বিহারী দাসের ছেলে ক্ষিতিশ দাস ও ক্ষিতিশ দাসের ছেলে যিশু রাম দাস।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ইয়াছিন আলী। তিনি বলেন, আদালত মামলাটি তদন্ত করতে থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত বছরের জুলাই মাসে দুবাই প্রবাসী যিশু রাম দাস তার বাবা ক্ষিতিশ দাসের মাধ্যমে বিমল চন্দ্র দাসকে ফাস্টফুট, কেপটেরিয়া ও দোকানের সেলসম্যানের কাজের ভিসা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ভিসার মূল্য বাবত সাড়ে ৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করে যিশু রাম চুক্তিবদ্ধ হয়। চুক্তিমতো টাকা নিয়ে তাকে (বিমল) দুবাই নেয়। দুবাইয়ে নেওয়ার পর বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে আরো ২৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু প্রতারক যিশু রাম দাস চাকুরি ও আকামা কোন কিছুই করে দেয়নি বিমল দাসকে। সেখানে (দুবাইয়ে) অসহায় হয়ে বারবার যোগাযোগ করলেও যিশু রাম দাস ও তার বাবা ক্ষিতিশ দাস উল্টো হুমকি-ধমকি দেওয়া শুরু করে।

মামলার বাদী নকুল চন্দ্র দাস জানান, যিশু রাম দাস ও ক্ষিতিশ দাস ১২০০/১৩০০ দেহরামের চাকুরি দেওয়ার চুক্তি করে সাড়ে ৩ লাখ টাকা নিয়ে আমার ভাইকে দুবাই পাঠায়। সেখানে নিয়ে কৌশলে আরো ২৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্ত সে আমার ভাইয়ের কোন কিছুই করে দেয়নি। আমার ভাই সেখানে কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছে। আকামা করে না দেওয়ায় যে কোন সময় দুবাই সরকার তাকে আউট করে দেশে পাঠিয়ে দিতে পারে।  দালাল যিশু রাম দাস ও তার বাবার প্রতারণায় আমার ভাইকে দুবাই পাঠাতে আরো দুই লাখ টাকা বাড়তি খরচ হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তারা শুধু আমার ভাইয়ের সাথেই প্রতারণা করেনি, আরো অনেকের সরলতার সুযোগ নিয়ে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews