এইবেলা, কুলাউড়া :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় মনু নদীর উপর (৩য়) রাজাপুর সেতুর সড়ক বাস্তবায়ন না হওয়ায় এলাকাবাসী মনে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। সংযোগ সড়ক বাস্তবায়নের দাবিতে এলাকবাসী জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ, মানব বন্ধন করেছে। কিন্তু তাতে কোন সুফল না হওয়ায় সংযোগ সড়ক স্থাপনের দাবিতে বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছে।
এলাকাবাসীর পক্ষে ফয়জুল হক, তোফায়েল আহমদ, মানিক মিয়া ও পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ জানান, উপজেলার হাজীপুর, শরীফপুর ও পৃথিমপাশা ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধার্থে মনু নদীর উপর কুলাউড়া উপজেলায় (৩য়) রাজাপুর সেতু নির্মিত হয়। ৩ বছর আগে ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মনু নদীর উপর এই সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। কিন্তু ৩ বছর অতিবাহিত হলেও সংযোগ সেড়কের কারণে সেতু দিয়ে পারাপার সম্ভব হচ্ছে না। ফলে অত্র এলাকার স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসাগামী ছাত্রছাত্রী ও জনসাধারণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এলাকাবাসী অবিলম্বে সংযোগ সড়ক নির্মাণ সম্পাদন করে মানুষ ও যানবাহন চলাচলের জন্য অবমুক্ত করা দাবি জানান।
জানা যায়, ২০১৮ সালে রাজাপুর সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটি ৯৯ কোটি ১৭ লাখ ৩৮ হাজার টাকার প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদিত। এ প্রকল্পের অধীনে সড়কের ১৪তম কিলোমিটারে ২৩২ দশমিক ৯৪ মিটার পিসি গার্ডার সেতু, সাড়ে ৭ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক ও এ কাজে জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ১ জুলাই। ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শুধুমাত্র সেতুর নির্মাণকাজ ২০২১ সালের জুন মাসে শেষ হয়। ২০২০ সালে কার্যাদেশ পাওয়া প্রায় ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুর দু’পাশে সাড়ে ৭ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ পায় সিলেটের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মো. জামিল ইকবাল।
২০২২ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। ভূমি অধিগ্রহণে নানা জটিলতা থাকায় পর দুই দফায় কাজের মেয়াদ ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। বর্তমানে রাজাপুর-চাতলাপুর সংযোগ সড়কের কাজে শরীফপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর মৌজায় শতাধিক লোক এখনও জমি অধিগ্রহণের টাকা পাননি। যার জন্য শরীফপুর ইউনিয়নে জমির মালিকরা টাকা না পাওয়ায় কাজে বাঁধা দিচ্ছেন বলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানায়।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন জানান, এলাকাবাসী লিখিত একটি আবেদন আমার অফিসে দিয়ে গেছেন। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।##
Leave a Reply