কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজার টু মিরতিংগা চা বাগান ভায়া ভৈরবগঞ্জ বাজার আঞ্চলিক সড়কটি বালু ব্যবসায়ীদের কারণে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ভারি ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কটি খানাখন্দে ভরে গেছে। সড়কটির বেশির ভাগ জায়গায় উপরের স্তর উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে।
বালু ভর্তি ট্রাক চলাচলের কারণে মুন্সিবাজার টু মিরতিংগা চাবাগান পর্যন্ত রাস্তাটি সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এ সড়কটি দিয়ে সারাদিন বালু ভর্তি ট্রাক চলার কারণে বালু উড়ে আশপাশের দোকানসহ পথচারীদের চোখে মুখে ঢুকে পড়ছে। বিরামহীন ট্রাক আবাধ চলাচলের কারণে রাস্তার বেশিরভাগ অংশ খানাখন্দ হয়ে জনসাধারণের চলাচলে ভোগান্তিতে রূপ নিয়েছে। বিশেষ করে বালুমহাল ধলাই নদীর ধর্মপুর মৌজায় থাকায় ধর্মপুর গ্রামের কাঁচা সড়কে চরম ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এলাকার মানুষ বাড়িঘরে ধুলা বালির বলির শিকার হচ্ছেন। ধর্মপুর এলাকার মানুষ ঘরে বসে শান্তিতে খাওয়া-দাওয়া করতে পারছে না। এলাকাটি ধুলার রাজ্যে পরিণত হয়েছে। সড়কটির এমন বেহাল দশার কারণে সাধারণ পথচারীদের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সারাক্ষণ বালুভর্তি ট্রাকের চলাচলের কারণে ধুলোয় অতিষ্ঠ এ অঞ্চলের মানুষ। অসহ্য ধুলার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে। এ সড়কে ধুলাবালি এতই বেশি যে একটা ট্রাক গেলে সামনে আর কিছুই দেখা যায় না। এ সড়কটির ধুলাবালি ঘন কুয়াশাকেও হার মানিয়েছে। ট্রাক চলাচলের কারণে ঘন ধুলাবালিতে দিনকে যেন রাত বলে মনে হয়। কমলগঞ্জের মুন্সিবাজার টু মিরতিংগা চা বাগান ভায়া ভৈরবগঞ্জ বাজার রোড রাস্তার ধারে বসবাসরত সাধারণ মানুষ ও দোকানদারদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ধুলোবালিতে রাস্তার পাশে গাছের পাতার রং সবুজ থেকে সাদা হয়ে গেছে। স্থানীয় জব্বার মিয়া জানান, সড়কটি এখন বালু ব্যবসায়ীদের দখলে। বালুভর্তি খোলা ট্রাকের বেপরোয়া চলাচলে শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মো: মনু মিয়া জানান, বালুভর্তি ট্রাকের অবাধ চলাচলে শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের নাকে মুখে ধুলা ঢুকে শ্বাস কষ্ট, যক্ষা, হাঁপানী, চোখের সমস্যা, সর্দি ছাড়াও বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। গত ১৫ নভেম্বর দুপুর কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাখন চন্দ্র সূত্রধর এর নের্তৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত ধলাই নদীর ১ম খন্ড ধর্মপুর মৌজায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ২ ব্যক্তিবে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করে। ৫ দিনের ভিতরে বালু সরানোর নির্দেশনা দিলেও ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও ধলাই নদীর প্রথম খন্ডের ইজারাদার প্রতিনিধি বদরুল ইসলাম তা এখনও সরাননি।
জানা যায়, উপজেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত ধলাই নদীর একাধিক স্থান থেকে বালু উত্তোলন হচ্ছে। লিজের বাহিরেও বালু উত্তোলনের পর কৃষিজমিতে স্তুপীকৃত হচ্ছে। এতে মানা হচ্ছেনা কোন আইন। ড্রেজার মেশিনে উচ্চ শব্দে বালু উত্তোলনে নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ধ্বসে পড়ছে। একাধিক ট্রাকযোগে বালু পরিবহনে ভেঙ্গে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী রাস্তাঘাট। ধর্মপুর গ্রামের প্রায় অর্ধ কি.মি. জুড়ে বালু উত্তোলনের ফলে গ্রাম্য রাস্তার বিভিন্ন অংশে গর্ত ও ভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে। ড্রেজার মেশিনের উচ্চ শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন স্থানীয়রা। হুমকির মুখে পড়েছে নদীর উপর স্টিলের ব্রিজ। নদীর বাঁধ ধ্বসে এই এলাকার কয়েকটি বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা রয়েছে।
এ ব্যাপার জানতে চাইলে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর বলেন, দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply