আত্রাইয়ে গো-খাদ্য সংকটে কৃষক ও খামারীরা দিশেহারা আত্রাইয়ে গো-খাদ্য সংকটে কৃষক ও খামারীরা দিশেহারা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আত্রাইয়ে ফের ৬ ট্রান্সফরমার চুরি : উদ্ধার হয়নি আগের ৪২টি কমলগঞ্জ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে কর্মী শিক্ষা শিবির ও ইফতার মাহফিল কুলাউড়ায় বন্ধু সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কমলগঞ্জে অবৈধ বালু পরিবহনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বড়লেখায় বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল গাজায় বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যা- বড়লেখায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ কুড়িগ্রামে এক কিশোরীকে ১৮ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ কুড়িগ্রামে চাকিরপশার বিলের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কমলগঞ্জে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে করণীয় বিষয়ে সচেতনতমূলক ক্যাম্পেইন আজ থেকে শুরু হচ্ছে কুলাউড়ার বরমচালে হজরত শাহকালা (রহ.) র ৩ দিনব্যাপী ঈসালে সওয়াব

আত্রাইয়ে গো-খাদ্য সংকটে কৃষক ও খামারীরা দিশেহারা

  • রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) ::

নওগাঁর আত্রাইয়ে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উচ্চ মূল্য দিয়ে খর কিনে গো-খাদ্যের চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে। এতে করে এলাকার হাজার হাজার কৃষক ও গো-খামারীরা হিমসিম খাচ্ছে। অনেকে গো-খাদ্য সংকটের কারনে গরু ছাগল বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে।

জানা যায়, এ বছর পর পর দু’বার ভয়াবহ বন্যায় আত্রাইয়ের কোন মাঠে আমন ধানের চাষ হয়নি। অন্যান্যবার উপজেলার ৮ ইউনিয়নে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হতো। এর মধ্যে মনিয়ারী, ভোঁপাড়া, শাহাগোলা ইউনিয়নে সর্বাধিক পরিমান জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়। আর এসব ধানের খর এলাকার গো-খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে দেশে অন্যান্য জেলায় এ খরগুলো বিক্রি করা হতো। কিন্তু এবারের ভয়াবহ বন্যায় আমন ধানের চাষ না হওয়ায় গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে জেলার যেসব থানায় আমন ধানের চাষ হয়েছে ওই এলাকা থেকে উচ্চ মূল্য দিয়ে খর কিনতে হচ্ছে কৃষক ও গো-খামারীদের। প্রতিদিন সেই কাকডাকা ভোরেই ভ্যানযোগে গো-খাদ্য নিয়ে হাজির হন উপজেলা সদরের সাহেবগঞ্জ ব্রিজে। আর মুহুর্তের মধ্যেই এগুলো বিক্রি হয়ে যায় খামারী ও কৃষকদের কাছে।

ভ্যানযোগে আত্রাইয়ে খর বিক্রি করতে আসা রাণীনগর উপজেলার জলকৈ গ্রামের ইদ্রিস আলী ও উজলপুর গ্রামের কেরামত আলী বলেন, আত্রাইয়ে গো-খাদ্যের ব্যাপক চাহিদা আছে। এ জন্য আমরা প্রতিদিন সকালে খর বোঝাই ভ্যান নিয়ে এখানে আসি। রাণীনগর এলাকায় আমন ধানের চাষ হওয়ায় সেখানে পর্যাপ্ত পরিমান খর পাওয়া যাচ্ছে। আমরা ওই এলাকার কৃষকের কাছ থেকে খর কিনে এখানে নিয়ে আসি। প্রতি ভ্যান খর ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায় বিক্রয় হয়। এতে আমরা বেশ লাভবান হই।

আত্রাই উপজেলার জামগ্রামের সাইদুর রহমান বলেন, আমন ধানের খরের উপর ভরসা করে আমরা ইরিবোরো ধানের খর ওই সময় বিক্রি করে দিয়েছি। কিন্তু আমাদের সকল ভরসা ম্লান হয়ে গেছে ভয়াবহ বন্যায়। না পেলাম ধান, না পেলাম খর। এ যেন আম-ছালা দু’টাই হারালাম। আমাদের অঞ্চলে আমন ধান না হওয়ায় উচ্চ মূল্য দিয়ে খর ক্রয় করতে হচ্ছে।

শাহাগোলা গ্রামের সোহেল হোসেন বলেন, যে খর আগে কিনতাম ৫০০ টাকায় সেই খর এবার কিনতে হচ্ছে ২৫০০ টাকায়। এতে করে গরু ছাগল প্রতিপালন আামদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews