আত্রাই গুড়নই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে কার্যক্রম আত্রাই গুড়নই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে কার্যক্রম – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১১:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আলোচনা সভা ও মেডিকেল ক্যাম্প সরকারি কাজে বাঁধা ও ইউএনওকে হুমকি ওসমানীনগরে এক সমন্বয়েকর ২ মাসের কারাদন্ড অবৈধ অনুপ্রবেশ- বড়লেখা সীমান্তে নারী ও শিশুসহ ১০ রোহিঙ্গা নাগরিক আটক অদম্য মেধাবী : চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছে দারিদ্রতা অনন্যার প্রতিবন্ধকতা নাগেশ্বরীতে বিএনপির আহবায়কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ নিটার ক্যাম্পাসে সমকামীতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সরব অবস্থান  দিনে ‘অচল’ ড্রেজার রাতে সচল আত্রাইয়ে চুরি ও মাদক মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ৫ সংবাদ সম্মেলনে ওসমানীনগর বিএনপি : একটি মহলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ছাতকে ‘জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহণ’ ও আলোচনা সভা

আত্রাই গুড়নই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে কার্যক্রম

  • শনিবার, ৫ জুন, ২০২১

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি::

জেলার মৎস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত আত্রাই উপজেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রাম হচ্ছে গুড়নই। আত্রাই নদীর তীরে অবস্থিত এই গ্রামে প্রায় ২শত বছর যাবত প্রাথমিক শিক্ষায় জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে আসছে গুড়নই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।

নওগাঁর আত্রাই উপজেলাধীন ৩০নং গুড়নই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চার কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে কার্যক্রম। ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে স্থাপিত হয়ে সরকারী ভাবে আনুমানিক ১৯৫০সনে একটি ভবন নির্মিত হয় এ বিদ্যালয়ে। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ায় সিমেন্টের টেম্পার কমে গিয়ে প্রতিনিয়ত ছাদের পলেস্তা এবং দেয়ালের প্লাষ্টার খুলে পড়ছে। এতে যে কোন সময় বড় রকম দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

সরেজমিনে জানা যায়, আত্রাই উপজেলাধীন গুড়নই গ্রামে গোড় নদী সংলগ্ন ১৮৬০সনে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গের সহযোগিতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। এতে আনুমানিক ১৯৫০ সনে চার কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মিত হয়। এরপর তিন কক্ষের একতলা দুটি ভবন নির্মিত হয়। বিদ্যালয়ে সাতটি কক্ষের মধ্যে চারটি কক্ষে ছাদের পলেস্তা প্রতিনিয়ত খুলে পড়ছে। করোনা মহামারির প্রভাব কমে এলে বিদ্যালয় খুলে দেয়ার ঘোষণায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান নিয়ে উৎকন্ঠায় আছেন একশ উননব্বই শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও সাত জন শিক্ষক মন্ডলী। এছাড়া গত বছর বন্যায় বিদ্যালয়ের তিনটি গাছ নদীগর্ভে বিলিন হয়ে মূল ভবনের সাথে নদী এসে লেগে গেছে। অতিদ্রুত নদীভাঙ্গন রোধের পদক্ষেপ না নিলে ভবনটি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে বলে এলাকার লোকজন মনে করেন।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জহুরুল ইসলাম বলেন, অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা বিদ্যালয়ের পাঠদান ও অন্যান্য কার্যক্রম সুচারু ভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। বিদ্যালয়ের পুরাতন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙ্গে নতুন করে ভবন নির্মাণ করা না হলে এই অঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষার পরিবেশ একেবারেই ভেঙ্গে পড়বে। এছাড়া নদী ভাঙ্গনতো রয়েছেই।

প্রধান শিক্ষক নূর জাহান খাতুন বলেন, জরাজীর্ন ঘরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। কেননা মোট সাতটি ঘরের মধ্যে চারটি ঘরের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। আবার বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙ্গনের ফলে প্রধান ভবনটি নদীগর্ভে বিলিনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। নতুন ভবন নির্মাণ এবং নদীগর্ভে বিলিনের হাত থেকে রক্ষার্থে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

উপজেলা প্রকৌশলী পারভেজ নেওয়াজ খান বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও বিদ্যালয়ে সংস্কার মেরামত এবং আধুনিক ভবন নির্মাণ কার্যক্রম চলমান আছে। আগামীতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এ বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণ কার্যক্রম করা হবে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews