এইবেলা, মৌলভীবাজার, ১৫ সেপ্টেম্বর:: বুধবার বিকেল ৪টায় মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। পরে শাহ মোস্তফা মাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীকে মা-বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে। মন্ত্রীর ভাই লিয়াকত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, ঈদুল আযহা ও শারদীয় দুর্গা পূজার পর থেকে মৌলভীবাজার সরকারী স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল মাসব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলা। মেলার জন্য প্রস্তুতি চলছিল পুরোদমে। প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল কয়েক শ’ স্টল তৈরির কাজ। কিন্তু হঠাৎ করে তড়িঘড়ি করে ভেঙে ফেলা হচ্ছে স্টলগুলো। কারণ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর মৃত্যুতে তার জানাজার জন্য বড় আর কোনো মাঠ না থাকার কারণে এ মাঠটি ব্যবহার করা হবে। তাই মেলাটি সাময়িক ভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন ও জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মৌলভীবাজার সার্কিট হাউজে মঙ্গলবার রাতে এক জরুরি সভায় মন্ত্রীর জানাজার নামাজের জন্য মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ নির্ধারণ করা হয়। এরপর ওই রাত থেকেই তড়িগড়ি করে মাঠের সব স্টল ভেঙে ফেলা হচ্ছে। কর্দমাক্ত মাঠটি এখনস প্রস্তুত করা হচ্ছে জানাজার নামাজের জন্য।
মন্ত্রীর ভাই লিয়াকত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুর থেকে মহসিন আলীর মরদেহ ঢাকায় এসে পৌঁছাবে। এরপর তার মরদেহ ৩৪-মিন্টু রোডস্থ সরকারি বাসভবনে নেয়া হবে। বুধবার সকালে ৮টায় দিকে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য মরহেদ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনে তার প্রথম নামাজে জানাজার পর দুপর ১২টার দিকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে মৌলভীবাজারে নিয়ে আসা হবে।
এরপর একইদিন (বুধবার) বিকেল ৪টায় মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে শাহ মোস্তফা মাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীকে মা-বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে হবিগঞ্জের মাধবকুন্ডে আলোচনা সভা থেকে ফিরলে রাত শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপরই মন্ত্রীকে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। নিউমোনিয়া, কিডনিতে সমস্যা এবং ডায়াবেটিস রোগে মারাত্মক অসুস্থ সমাজকল্যাণ মন্ত্রীকে গত ৫ সেপ্টেম্বও উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর মাউন্টে এডোরা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মন্ত্রী।
রিপোর্ট-সেলিম আহমেদ
